বর্তমান সমাজের সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হলো মাদকাসক্তি

7

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো: জাহিদ হোসেন মোল্লা বলেছেন, বর্তমান সমাজের সমস্যা গুলির মধ্যে অন্যতম হলো মাদকাসক্তি। যে কোন ধরণের মাদক মানুষের শরীর ও মনের উপর ক্ষণস্থায়ী এবং দীর্ঘকালীন উপভয় প্রকারের প্রভাব বিস্তার করে। আসক্তদের চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ্য করা সম্ভব। তিনি বলেন, তাদেরকে অপরাধী না ভেবে পরিবারে সদস্য, দেশে ও সমাজের অংশ হিসেব চিকিৎসার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিরে আনা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে, দেশের ১৮ বছরের নিচে মাদকাসক্তদের সংখ্যা বাড়ছে। সেই বিষয়ে পরিবার ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা উচিত। যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে বাচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার মাদকাসক্তদের চিকিৎসা, সামাজিকভাবে পুনর্বাসন এবং আয়বর্ধক কাজে সম্পৃক্তকরণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য একথাগুলো বলেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মলয় ভ‚ষন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও প্রসিকিউটর মো. জীবন মাহমুদ এর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী আক্কাস। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোচিকিৎসক শফিউল ইসলাম খালেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এমসি কলেজ মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীমা রাসূল।
কর্মশালা অংশগ্রহণ করে নিউ প্রশান্তি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, বাঁধন মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, নিউ প্রেরণা মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, আহবান মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রত্যাশা মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিশ্রæতি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, এইম ইন লাইফ মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।
কর্মশলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লা আরও বলেন, মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রগুলো মাদকাসক্ত রোগীদের চিকিৎসার পর তাদের নিয়ে গবেষণা করে প্রায়োগিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং নিরাময় কেন্দ্র থেকে কাউন্সিলিং এর বিশেষ ব্যবস্থা করা জন্য। এই মাদকাসক্তদের চিকিৎসার পর পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে। এক্ষেত্রে কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় যাতে করে তারা নিজেদেরকে কাজে লিপ্ত করে রাখতে পারে। সরকার মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, যে পরিবারে একজন মাদকাসক্ত আছে, সে পরিবারের যে কী কষ্ট, সেটা আমরা উপলব্ধি করতে পারি। সে কারণে অভিযানটাকে আমাদের আরও ব্যাপকভাবে পরিচালনা করে যেতে হবে। এক্ষেত্রে মাদকাসক্তির খারাপ দিকটি মানুষের সামনে তুলে ধরে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং সমাজের সব স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করে প্রচার চালানোর আহŸান জানান তিনি। -বিজ্ঞপ্তি