সুনামগঞ্জে আরো বড় বড় উন্নয়ন করতে চাই : পরিকল্পনামন্ত্রী

19

মো. শাহজাহান মিয়া, জগন্নাথপুর

সুনামগঞ্জ ৩ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেছেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এ জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণ করতে হবে। দেশের প্রতি সম্মান ও ভালবাসা থাকতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যান্ত সাহসী মানুষ। তিনি মায়ের মতো মমতাময়ী ও উন্নয়নকামী। দেশের হাওর এলাকার জন্য তাঁর আলাদা মায়া আছে। তিনি গ্রাম-গঞ্জের উন্নয়নে কাজ করেন বেশি। মন্ত্রী বিরোধী দলের প্রতি বলেন, আমরা কারো কথায় সরে যাবো না। নির্বাচনে আসো। মাঠে নামো, খেলো। খেলার বিকল্প নাই। তিনি জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের উন্নয়নধারা বজায় রাখতে ও কাজের প্রতিদান হিসেবে আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে ন্যায় বিচার করবেন। মন্ত্রী আরো বলেন, ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জে বেশ কয়েকটি বড় উন্নয়ন হয়েছে। আরো বড় বড় উন্নয়ন করতে চাই। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
রোববার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে স্থানীয় আবদুস সামাদ আজাদ অডিটরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যগণকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা এলজিইডি অফিসের ধীরেন্দ্র সূত্রধরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ সিদ্দিক আহমদ। বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মাহবুব হোসেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, সহকারি পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ সার্কেল) শুভাশীষ ধর, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রশীদ ভ‚ইয়া, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরিকল্পনামন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসেন, জগন্নাথপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম মুন্না, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ূম মশাহিদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মধু সুধন ধর, মিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান, পৌর আ.লীগের সভাপতি ডা.আবদুল আহাদ, রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সভাপতি হাজী সুন্দর উদ্দিন, পাটলি ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মনু মোহাম্মদ মতছির, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মুকিত, সাধারণ সম্পাদক তাহা আহমদ প্রমূখ। এতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা জুবায়ের আহমদ ও গীতাপাঠ করে শিশু শিক্ষার্থী তনুশ্রী গোস্বামী। সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করা হয় এবং পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
এ সময় সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য মাহতাবুল হাসান সমুজ, জগন্নাথপুর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খানম সাথী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, জগন্নাথপুর পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র শফিকুল হক, জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, সহকারি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবদুর রব সরকার, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম মখলেছুর রহমান, উপজেলা প্রাণি সম্পদক কর্মকর্তা ডা. খালেদ সাইফুল্লাহ, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দাস, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল কাইয়ূম, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবদুল হক, উপজেলার আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ূব খান, কলকলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মিয়া, পাটলি ইউপি চেয়ারম্যান আংগুর মিয়া, রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক লুৎফুর রহমান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম, সাবেক প্রচার সম্পাদক হাজী আবদুল জব্বার, আ.লীগ নেতা আকমল খান, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইকবাল হোসেন ভ‚ইয়া, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ, পৌর কাউন্সিলর সুহেল আহমদ, জগন্নাথপুর বাজার সেক্রেটারি জাহির উদ্দিন সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা হাজারো জনতা অংশ গ্রহণ করেন।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে প্রতিটি প্রায় ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ট্যাব ১৬৮ জন মেধাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এর আগে জগন্নাথপুর পৌর শহরের নলজুর নদীর উপর প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আর্চসেতুর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।