হবিগঞ্জে ছাত্রলীগ-জনতা মিলে নির্বাচন কর্মকর্তাকে গণধোলাই

28

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদকে গণধোলাই দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও এনআইডি কার্ড জটিলতায় ভুক্তভোগীরা। গত বুধবার দুপুর ২টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) এডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলায় তাকে গণধোলাই দেয়া হয় বলে জানা যায়। এ সময় ইউএনও এবং ওসি তাকে উদ্ধার করেন।
জানা যায়, উপজেলা প্রশাসনের একটি অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার নির্বাচন অফিসারকে মানুষকে হয়রানি করার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে ভাইস চেয়ারম্যানের প্রতি তেড়ে আসেন। এ নিয়ে ভুক্তভোগী ও নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পাশেই ছিলেন স্থানীয় এমপি এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান। তিনি পরিস্থিতি সামাল দিতে নির্বাচন অফিসার বুলবুল আহমেদকে শান্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু বুলবুল আহমেদ এমপির সঙ্গেও উত্তেজিত হয়ে বাগবিত-া ও অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলতে থাকেন। এ সময় উত্তেজিত ভুক্তভোগী ও ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতাকর্মীরা বুলবুল আহমেদকে গণধোলাই দেন। এতে ওই অফিসার মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ইউএনও পদ্মাসন সিংহ ও ওসি অজয় চন্দ্র দেব তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে নির্বাচন অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান, আমার ওপর কেন হামলা হয়েছে আমি জানি না। শুধু জানি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আমার মোবাইল ফোন নম্বর চাইলে আমি দেইনি।
পরক্ষণে তিনি বলেন, যেহেতু আমি এমপির সঙ্গে বেয়াদবি করেছি তাই নিউজ করলে আমার সমস্যা হবে। দয়া করে নিউজটা করবেন না। অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনার বক্তব্য জানতে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।