দিরাইয়ে আইনশৃঙ্খলা সভায় সার, খাদ্য, হাওর রক্ষা বাঁধ নিয়ে ক্ষােভ

17

একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
দিরাইয়ে খোলাবাজারে চাল বিক্রি, সার, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে অনিয়ম ও হাওর রক্ষা বাঁধের কাজে মন্তর গতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। রোববার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তারা ক্ষােভ প্রকাশ করেন।
দিরাই উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভার প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ড.জয়া সেনগুপ্তা। বক্তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, সরকার খোলাবাজারে ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে, ন্যায্য মূল্যে সাধারণ জনগণের মাঝে চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য প্রতিদিন দুইশ জনের মধ্যে প্রদানের নিয়ম থাকলেও স্থানীয় অসাধু কতিপয় ডিলাররা ২০-৩০ জনকে দিয়েই চলে যান। বক্তারা এ কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সমালোচনা করে বলেন, তারা বিতরণ স্থানে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করে দায়িত্ব শেশ করে চলে আসেন। সরকার কৃষকদের জন্য প্রচুর পরিমাণ সার বরাদ্দ দিলে ও সার চলে যায কালোবাজারিদের দখলে। যার কারণে কৃষকদের হতাশায পড়তে হয়। ন্যায্য মূলের সার কিনতে হয় বেশি মূল্যে। হাওর রক্ষা বাঁধ নিয়ে হতাশার সুরে বক্তারা বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারী মধ্যে সকর হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার সরকারি নির্দেশ থাকলে ও এখনো অধিকাংশ বাঁধে ৫০ ভাগের বেশি কাজ হয়নি। কোনো বছরই সরকারের বেধে দেওয়া সময়ে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। পাউবো ও পিআইসির এ গাফলতি সত্যই দুঃখ জনক। সকল অনিয়ম ও হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ যথাসময়ে শেখ করতে মাননীয় সংসদ সদস্যের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
ড. জয়া সেনগুপ্তা বলেন, শিক্ষা, কৃষি, যোগাযোগ সহ সকল সেক্টরে আমাদের সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, গ্রামের সাধারণ মানুষের সহায়তায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি, কৃষকদের সহায়তায ন্যায্যমূল্যে সার, বীজসহ প্রযোজনীয উপকরণ মজুদ রেখেছে। এসব বিতরণে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবেনা। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেন তিনি। বোরো ফসল হচ্ছে আমাদের এলাকার মানুষের জীবন জীবিকার প্রধান অবলম্বন। বোরা ফসলই আমাদের আয়ের প্রধান উৎস, আমাদের বোরোফসল রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার হাওর রক্ষা বাঁধ মেরামতের জন্য প্রচুর বরাদ্দ দিয়েছেন। সুতরাং যথাসময়ে বাঁধের কাজ শেষ করতে হবে। বাঁধের কাজ কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবেনা। জননেত্রী শেখ হাসিনা র নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকল কে কাজ করে যেতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী, প্যানেল চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট রিপা সিনহা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, দিরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি সামছুল ইসলাম সরদার খেজুর, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন, অর্থসম্পাদক প্রশান্ত সাগর দাস, নির্বাহী সদস্য মুশাহিদ সর্দার, জীবন সূত্রধর, দিপু বনিকসহ প্রসাশনের সকল দপ্তরের প্রধান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য বৃন্দ।