সিলেট প্রেসক্লাবে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন \ গোলাপগঞ্জে হামলায় আহত মামুনের অবস্থা সংকটাপন্ন, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি

9

স্টাফ রিপোর্টার :
গোলাপগঞ্জের ল²ীপাশায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মামুন আহমদের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। হামলার সাথে জড়িতরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও গ্রেফতার করছে না গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের ভ‚মিকা রহস্যজনক ও প্রশ্নবিদ্য বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। মৃত্যু সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকা মামুনের যেকোন সময় মৃত্যুও হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমন পরিস্থিতিতে মামুনের পরিবার রয়েছেন শঙ্কায় এবং আতংকে। রবিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানান মামুনের পরিবার ও এলাকাবাসী। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আহত মামুনের ভাই জগঝাপ গ্রামের মৃত আহমদ আলীর ছেলে মাসুদ আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে মাসুদ বলেন, আমরা এলাকায় শান্তিপ্রিয়ভাবে বসবাস করে আসছিলাম। এলাকার কোনো ধরণের দাঙ্গা ফ্যাসাদে কখনো জড়াইনি। আমাদের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিবেশি নাজিম-মঈন উদ্দিনরা গংরা ভ‚মি দখলের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠেছে। বিভিন্ন সময় তারা প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। পরিবারে চালিকাশক্তি আমার ভাই মামুন আহমদ পরিবারের চালিকাশক্তি। ভ‚মিখেকো সন্ত্রাসীরা তাকে টার্গেট করে কুপিয়ে জখম করেছে। তিনি এখন হাসপাতালে জীবনমৃত্যু সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। মাসুদ বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে আমার বড় ভাই মামুন আহমদ বাড়ির সামনে শিম ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত ছিলেন। এমন সময় আমাদের নিকটাত্মীয় জগঝাপ গ্রামের মৃত মস্তাকিন আলীর ছেলে নাজিম উদ্দিন, মৃত মছব্বির আলীর ছেলে মঈন উদ্দিন, তার সহোদর ইব্রাহিম আলী ও আবুল হোসেন, আব্দুর রহিমের ছেলে রাফি আহমদ, আবুল হোসেনের ছেলে মাহি আহমদ, আব্দুর রহিমের ছেলে সাফি আহমদ, মোস্তাকিম আলীর স্ত্রী রোকিয়া বেগমসহ আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জন মিলে আমার ভাইয়ের উপর দেশিয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসার জেরে এই হামলা চালায়। তারা আমার ভাইকে দুনিয়া থেকে তুলে দিতে প্রাণে হত্যার চেষ্টায় হামলা চালায়। তারা আমার ভাইকে এমনভাবে কুপিয়েছে, যাতে বেঁচে থাকলেও তিনি পঙ্গুত্ব বরণ করে থাকেন। মাসুদ আরো বলেন, আমার ভাইকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর গোলাপগঞ্জ থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করি। কিন্তু এ যাবত আসামিদের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। অথচ আসামিরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তাদের হুমকির কারণে আমার মা ফাতেমা বেগমও থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছেন। কিন্তু মামলার ন্যায় জিডি’র ঘটনায়ও পুলিশের তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ফলে আসামিরা আরো ভয়ঙ্করভাবে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। তারা হামলা ও নাশকতার ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন মাসুদ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি নাজিম-মঈন উদ্দিন গংদের হাত থেকে তার পরিবারকে রক্ষায় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং আসামীদের আইণের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তর্মলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।