জগন্নাথপুরে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে কৃষি ইনস্টিটিউট, কমছে ফসলি জমি

13

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্প রাণীগঞ্জ সেতু নির্মাণ হওয়ার পর আরেকটি মেগা প্রকল্প প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় এবং জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের প্রচেষ্টায় এ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে চলেছে। আর স্বপ্ন নয়, এবার বাস্তবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে একের পর এক মেগা প্রকল্প। এতে সারা দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জগন্নাথপুর উপজেলা।
জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলতলা হাওরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণ হচ্ছে। বর্তমানে চলছে জমি অধিগ্রহণ কাজ। এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান মজুমদার জানান, উপজেলার নারিকেলতলা হাওরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ১৫.১৫ একর জমির উপর নির্মাণ হচ্ছে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। এখন চলছে জমি অধিগ্রহণের কাজ। তা শেষ হলে শুরু হবে ভবন নির্মাণ কাজ। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জগন্নাথপুরে রীতিমতো কৃষি বিপ্লব ঘটবে।
তবে সরেজমিনে স্থানীয়দের মধ্যে অনেকে জানান, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে একদিকে উন্নয়ন হলেও অন্যদিকে আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাবে। কারণ যেখানে কৃষি ইনস্টিটিউটের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে, তা পুরোটাই বোরো জমি। যা প্রতি বছর আবাদ হয়ে আসছিল। এবার থেকে আর জমি রোপন হচ্ছে না। যদিও অনেকে বীজতলা তৈরি করে ধানের চারা বপন করতে দেখা যায়।
এদিকে-পরিকল্পানমন্ত্রী এমএ মান্নানের প্রচেষ্টায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্প রাণীগঞ্জ সেতু নির্মাণ হয়েছে। বর্তমানে আধুনিক থানা ভবন, পৌর পয়েন্টের পাশে নলজুর নদীর উপর দৃষ্টিনন্দন আর্চসেতু সহ আরো অসংখ্য প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। রাণীগঞ্জ সেতুর মতো এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে উন্নয়নের দিকে কয়েকধাপ এগিয়ে যাবে জগন্নাথপুর। বদলে যাবে জগন্নাথপুরের চিত্র। চিরকালের অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া জগন্নাথপুরকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। এখন জগন্নাথপুরে দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখে মন্ত্রীর নিন্দুকেরাও তা অনায়াসে স্বীকার করছেন। মুখে নয়, কাজের মাধ্যমে নিজের মানসিকতা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। ২৫ ডিসেম্বর রবিবার উন্নয়নকামী জনতাদের মধ্যে অনেকে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।