নারী নির্যাতন প্রতিবাদ দিবস ও পক্ষকাল ॥ দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজন রাজনৈতিক অঙ্গীকার

4
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম সিলেটের সভাপতি মাজেদা রওশন শ্যামলী।

স্টাফ রিপোর্টার :
‘প্রতিনিয়ত সমাজে নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নারীরা। এ অভিজ্ঞতা ঘরে-বাইরে সর্বত্র। ফলে নারীর স্বাভাবকি বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, কখনো কখনো জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতির উত্তরণে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও অঙ্গীকার।’
সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। নারী নর্যিাতনরে বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতকি প্রতিবাদ দিবস- ও পক্ষকাল ২০২২ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে অপরাজিতা নেটওয়ার্ক ও জেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম সিলেট।
এতে আরও বলা হয়, ‘রাজনতৈকি অঙ্গীকার ছাড়া কাঠামোগত সহংিসতা বন্ধ করা সম্ভব নয়। সব র্পযায়রে নর্যিাতন বন্ধে নারী জনপ্রতিনিধি ও নত্রেীদরে ভূমকিা বশে।ি
যদিও দেশের রাজনীতেিত নারীর অংশগ্রহণ খুবই হতাশাব্যাঞ্জক বলে মনে করেন তারা। তারা বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ অনুচ্ছেদ ৯০ (খ) তে বলা ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব ২০২০ সালের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু এখনও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এই শর্ত পূরণে সক্ষম হয়নি।’
ঘরে বাইরে নারীর উপর নর্যিাতন বন্ধে আমাদরে অপরাজতিা ও নটেওর্য়াক অত্যন্ত সোচ্চার জানিয়ে তারা বলেন, ‘বভিন্নি সময়ে নানাভাবে তা বন্ধরে উদ্যোগ নেিয় থাকে। আমরা নারীর প্রতি সহংিসতা বন্ধে একজোট হয়ে কাজ করবো ও পাশে থাকবো।’
তারা কিছু সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নতুন একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজনৈতিক দলের সম্পাদকমণ্ডলি তথা সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক পদের মধ্যে যে কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীকে অর্থভুক্ত করতে হবে। জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়নে রাজনৈতিক দলের মূল কমিটিতে নারীর অংশগ্রহণ ও অগ্রগতি নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নারীদের ৩৩ শতাংশ মনোনয়ন দেওয়ার শর্ত যুক্ত করতে হবে। রাজনৈতিক দলের কমিটিগুলোর মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে সম্মেলনের আয়োজন করা। উপজেলা এবং জেলার মূল কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীর অর্ন্তভূক্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা। কার্যনির্বাহী কমিটিতেও ৩৩ শতাংশ নারীকে সম্পৃক্ত করা।
দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলকে সাহসী ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে কেবলমাত্র প্রতীকী অংশগ্রহণ নয়, নারীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং মনোনয়ন বৃদ্ধি করতে হবে।