ছাতকে কৃতকার্য হয়েছেন ৩৩৫৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২১৯জন শিক্ষার্থী

11

আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
সুনামগঞ্জের ছাতকে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩ হাজার ৯শ’২৫ জন। এদের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৩ হাজার ৩শ’৫৫ জন। মোট পাশের হার ৮৫.৪৭ ভাগ। উপজেলার মোট ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭১ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট ৪৪ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে সেরা সাফল্য অর্জন করেছে। ওই বিদ্যালয়ে পাসের হার ৯৪.৮৫ ভাগ।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় ২৪টি প্রতিষ্ঠানে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ৩০ জন। এদের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৮শ’৪১ জন। মোট পাসের হার ৮১.৬৫ ভাগ। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯ জন শিক্ষার্থী। উপজেলার লাকেশ্বর দাখিল মাদরাসা থেকে ১৫জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে সেরা সাফাল্য অর্জন করেছে। ওই প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শতকরা ৯২.৫৯ ভাগ। এছাড়া বুরাইয়া কামিল মাদরাসা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫জন, গোবিন্দনগর ফাজিল মাদরাসা ও খরিদিচর আলিম মাদরাসা থেকে ৪টি করে জিটিএ-৫ পেয়েছে। কালারুকা লতিফিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা, ছাতক জালালিয়া ফাজিল মাদরাসা, জাহিদপুর জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা, শাহ সূফি মোজ্জাম্মিল আলী (রহঃ) দাখিল মাদরাসা থেকে ২টি করে জিপিএ-৫ লাভ করেছে।
১টি করে জিপিএ-৫ লাভ করেছে নতূনবাজার দাখিল মাদরাসা, পালপুর জালালিয়া আলিম মাদরাসা ও আল ইখওয়ান বালিকা দাখিল মাদরাসা।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ৩শ’৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২শ’৪৬জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার শতকরা ৭৯.৮৭ ভাগ। ছাতক টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ২শ’ ৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১শ’৯৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন শিক্ষার্থী ও চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোকেশনাল শাখায় ৫৬জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৩জন কৃতকার্য হয়েছে এবং জিপি-৫ পেয়েছে ৬ জন শিক্ষার্থী।
উপজেলার বিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ২৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে ২য় স্থানে রয়েছে সাউথ ওয়েষ্ট সালেহ আহমদ স্কুল এন্ড কলেজ। ওই প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
২১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে ৩য় স্থানে ছাতক সরকারী বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানে পাসের হার ৯০.৬২।
১৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরী উচ্চ বিদ্যালয়।
এ প্রতিষ্ঠানে পাসের হার ৯৫.৩৫।
চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৪ জন, মঈনপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও পাইগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় যৌথ ভাবে ৯টি করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। হাজী আবদুল খালিক উচ্চ বিদ্যালয় ৮টি, সিলেট পাল্প এন্ড পেপার মিলস্ উচ্চ বিদ্যালয় ৪টি, নতুনবাজার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও সিবিপি উচ্চ বিদ্যালয় যৌথ ভাবে ৩টি করে, মনিরজ্ঞাতি উচ্চ বিদ্যালয়, চরমহল্লা উচ্চ বিদ্যালয়, একতা উচ্চ বিদ্যালয় ও পঞ্চগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ২টি করে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এছাড়া ১টি করে জিপিএ-৫ লাভ করেছে বাংলাবাজার সামারুননেছা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ঝিগলি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, খুরমা উচ্চ বিদ্যালয়, বুরাইয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ছাতক ইউনিয়ন এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, ছালেহা খাতুন কুর্শি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আলহাজ্ব আয়াজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়।
গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, এবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের দিক দিয়ে তাঁর বিদ্যালয় ছাতক উপজেলার শ্রেষ্ঠ ও জেলা পর্যায়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।