জীবন বাঁচাতে রক্তদান ॥ আইনী ও ইসলামী দৃষ্টিকোণ

11

মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান

(পূর্ব প্রকাশের পর)
গ. রক্তদানের পক্ষে হাদীসে প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত : রাসূল (স.) এর একটি হাদীসে দূষিত রক্তকে উত্তম রক্ত দ্বারা বদলে দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যক্তির অসুস্থতার পর যথাযথ চিকিৎসা প্রদান তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ সতেজ করে তোলে। আতা ইবনে ইয়াসার (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (স.) বলেন, যখন কোন মানুষ রোগাক্রান্ত হয় তখন আল্লাহ তা’আলা তার কাছে দুজন ফেরেশতা প্রেরণ করেন এবং তাদের বলেন, দেখ! অসুস্থ ব্যক্তি তার সেবাকারীদেরকে কি বলছে। যদি ঐ ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার শুকর করতে থাকে তবে ফিরিশতাদ্বয় আল্লাহ তা’আলার কাছে সে সংবাদ নিয়ে যায়। আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমি যদি তাকে মৃত্যু দেই তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে আর যদি তাকে রোগ থেকে মুক্তি দেই তবে তার খারাপ গোশতকে ভাল গোশত দ্বারা এবং দূষিত রক্তকে উত্তম রক্ত দ্বারা বদলে দেব এবং তার গুনাহ ক্ষমা করে দেব।
অগ্রগণ্য মত : রক্তদান সম্পর্কিত আলিমদের উভয় পক্ষের মতামত ও প্রমাণাদি বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হয় যে, রক্তদান সংক্রান্ত মত দুটি অবস্থা নির্ভর। ইসলামে স্বাভাবিক অবস্থায় অন্যান্য খাদ্যের মতো রক্তও খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা নিষিদ্ধ। রক্তদানের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন বিষয়, যাতে চিকিৎসকের পরামর্শ, দাতা ও গ্রহীতার উপযোগিতা, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা, নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন ইত্যাদি নিশ্চিত করতে হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের এ পদ্ধতির ওপর মানবকল্যাণ নিশ্চিতকরণে ইসলামের অনুমোদন রয়েছে। কেননা ইসলামী শরীয়ার অন্যতম লক্ষ্য ‘জীবন রক্ষা’ এ পদ্ধতি সংশ্লিষ্ট। রক্তদান কেবল বিশেষ প্রেক্ষাপটেই সম্পন্ন করা হয়, যেখানে রোগীর জীবন বিপন্ন হওয়ার আশংকা থাকে। এমতাবস্থায় শরীয়তের ‘সংকটকালে নিষিদ্ধবস্তু বৈধ হওয়া’Ñ এর নীতি প্রয়োগযোগ্য। আলিমগণের এ বিষয়ে ঐকমত্য রয়েছে। সর্বোপরি বলা যায়, চিকিৎসকের পরামর্শের ভিত্তিতে দাতা ও গ্রহীতার উপযোগিতা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ রক্তদান ও পরিসঞ্চালনের প্রতি ইসলামী শরীয়ার দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক।
রক্তদানের ফিকহী নীতিমালা :
রক্তদানের ক্ষেত্রে ফকীহগণ ভিন্ন ভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। উক্ত নীতিমালা অনুসরণ করে রক্তদান করা উচিৎ।
এর ব্যত্যয় হলে শরীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তা বৈধ হবে না। উপরোল্লিখিত বিভিন্ন ফিকহ বোর্ডের প্রদত্ত শর্তাবলির ভিত্তিতে নিম্নে এ সম্পর্কিত নীতিমালা তুলে ধরা হলো:
ক. রক্তদান আবশ্যক বা প্রয়োজনীয় হিসেবে প্রতীয়মান হওয়া;
খ. রক্তদান ছাড়া রোগীর রোগমুক্তি ও সুস্থতা সম্ভব নয় বলে প্রতীয়মান হওয়া;
গ. রক্তদানের কারণে রক্তদাতা ও রক্তগ্রহীতার কোন ক্ষতি না হওয়া;
ঘ. বিশেষজ্ঞগণের প্রবল ধারণায় রক্তদানের মাধ্যমে রোগী উপকৃত হওয়া;
ঙ. রক্তদাতা রক্তদানের বিনিময়ে কোন প্রকার আর্থিক বিনিময় নিতে পারবে না; কেননা হাদীসে স্পষ্টভাবে রক্ত বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া রক্ত ক্রয় বিক্রয় হারাম হওয়ার ব্যাপারে ইজমা সাব্যস্ত হয়েছে।
চ. রক্তদানের বিনিময়ে উপহার, উপঢৌকন গ্রহণের দুটি ধরন হতে পারে, এক- পূর্ব থেকে শর্তযুক্ত, এ ধরনের বিনিময় রক্ত বিক্রয় হিসেবে গণ্য বিধায় তা বৈধ হবে না; দুই- যদি এ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ মানবিক কাজ করার কারণে কোন প্রকার শর্ত ছাড়া উৎসাহ ও প্রণোদনামূলক কিছু উপঢৌকন প্রদান করে তবে তা বৈধ;
ছ. রক্তদাতা সন্তুষ্টচিত্তে রক্ত দিতে রাজী হবেন। তার থেকে জোরপূর্বক রক্ত নেয়া যাবে না। কেননা রক্ত তার শরীরের একটি অংশ, যাতে তার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ স্বীকৃত;
জ. যতটুকু রক্ত গ্রহণ প্রয়োজন ও নিরাপদ শুধুমাত্র ততটুকুই গ্রহণ করতে হবে। কেননা প্রয়োজনের অতিরিক্ত অথবা রক্তদাতা বা গ্রহীতার জন্য ক্ষতিকর এমন মাত্রায় রক্ত গ্রহণ করা হলে তা শরীয়ার দৃষ্টিতে বৈধ হবে না।
রক্তদানের নৈতিক দিক : কোন ব্যক্তি তার দেহের রক্ত অতীব প্রয়োজনীয় মুহূর্তে দান করা অবশ্যই ত্যাগের একটি দৃষ্টান্ত। কোন মানুষের উপকারে এরূপ সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান অতি উচ্চ দয়া ও অনুকম্পার বিষয়। রাসূল (স.) কঠিন মুহূর্তে জীবন রক্ষার কাজে এগিয়ে আসাকে আল্লাহর নিকট অতীব সাওয়াবের কর্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি একটি ইতর প্রাণীর জীবন রক্ষাকেও মহাপুণ্যের কাজ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একজন মহিলা বেশ কষ্ট করে কূপ থেকে পানি উঠিয়ে একটি পিপাসার্ত কুকুরের তৃষ্ণা নিবারণে সাহায্য করল। এই ক্ষুদ্র একটি অনুকম্পা প্রদর্শনের জন্যই মহিলাটি দোজখে যাওয়া থেকে রক্ষা পেল। রাসূল স.-এর পবিত্র মুখনিঃসৃত এ বহু মূল্যবান প্রাজ্ঞ ঘটনাটির মধ্যে আমাদের শিক্ষার বহু উপকরণ রয়েছে। প্রথমত কোন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কাজটি করা হয়েছে এবং দ্বিতীয়মত তার হৃদয়ের ঐকান্তিকতা ও আন্তরিকতার স্তর। একট তৃষ্ণার্ত কুকুরকে পানি পান করানো কোনো অসাধারণ ঘটনা নয়, অথচ হাদীসে বর্ণিত ছোট্ট সৎকর্মটির প্রকৃত মূল্যমান বিশাল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসলাম কষ্ট ও গ্লানিমুক্ত পারস্পরিক নির্ভরতার বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সামাজিক জীবন গঠনের দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছে। পবিত্র কুর’আনে ভালো ও ন্যায়ের কাজে পারস্পরিক সহযোগিতা করা এবং অন্যায়মূলক কাজে কারো সহযোগিতা না করাকে একটি মূলনীতিরূপে ঘোষণা করেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, কল্যাণমূলক ও তাকওয়ার কাজে সহযোগিতা করো এবং পাপ ও সীমালংঘনমূলক কাজে কারো সহযোগিতা করো না।
ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্কের আদান-প্রদান, আন্তরিকতার বহি: প্রকাশের মাধ্যমে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। আতা বিন আবি মুসলিম আল-খুরাসানী বলেন, রাসূল (স.) বলেছেন, তোমরা পরস্পর মুসাফাহা কর, বিদ্বেষ লোপ পাবে। একে অপরকে হাদিয়া প্রদান কর, ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে এবং ঘৃণা দূরীভূত হবে।
আল্লাহ তা’আলা মুসলিমদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তাই এ ভ্রাতৃত্ব-সম্পর্ক রক্ষা করা আবশ্যক। ভ্রাতৃত্বের এ সম্পর্ক বিভিন্নভাবে রক্ষা করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে জীবন, সম্পদ বা কথা দিয়ে মুসলিমের জীবনে পারস্পরিক সাহায্য করা যায়। পারস্পরিক সহমর্মিতা তথা অন্যের ব্যথিত হওয়া এবং তার আনন্দে আনন্দিত হওয়ার মাধ্যমেও সাহায্য-সহযোগিতা করা যায়। রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন, তুমি দেখবে ভালোবাসা, স্নেহ-মমতা ও সহমর্মিতার ক্ষেত্রে মুমিনরা একই দেহের মতো। এ দেহের একটি অঙ্গ রোগাক্রান্ত হলে অন্য অঙ্গসমূহ এর জন্য ব্যথিত হয়। জ্বরাক্রান্ত হয়ে পড়ে ও বিনিদ্র রজনী কাটায়। আর কোনো মুসলিম অসুস্থ হলে তার যথাসম্ভব সেবা করা পারস্পরিক অধিকারের মধ্যে একটি অধিকার ও দায়িত্ব। ইসলাম প্রত্যেক মুসলিমকে তার সমাজের ব্যক্তিবর্গের সাহায্য-সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ এবং আত্মীয়স্বজনকে দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা নিষেধ করেন।
রক্তদানের ক্ষেত্রে কয়েকটি সুপারিশ :
এক. বাংলাদেশে কোন বিশেষ দিন বা ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রক্তদান পরিলক্ষিত হয়। এতে নির্দিষ্ট স্থানে প্রয়োজনের তুলনায় বেশী রক্ত সরবরাহ হয়। অনেক সময় উদ্বৃত্ত রক্ত নষ্টও হয়ে যায়। অন্যদিকে সারা বছর দেশে যে পরিমাণ রক্তের প্রয়োজন তাও পূরণ হয় না। ফলে শুধু রক্তের অভাবে অসংখ্য মানুষ মারাও যায়। এ ক্ষেত্রে রক্তদাতারা নিয়মিত ‘ব্লাডব্যাংকে’ রক্তদান করলে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। রক্ত বেশীদিন সংরক্ষণ করা যায় না। তাছাড়া রক্ত নির্দিষ্ট তাপমাত্রার বাইরে কয়েক ঘন্টা রাখা হলে রোগীর শরীরে পরিসঞ্চালনের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই ব্লাডব্যাংকে রক্তাদাতাদের তালিকা সংরক্ষণ করা হলে প্রয়োজনের মুহুর্তে রক্ত সরবরাহ করা যায়।
দুই. নিজের আত্মীয়স্বজনের প্রয়োজনে রক্ত দেয়ার মানসিকতা বৃদ্ধি পেলেও তা যথেষ্ট নয়। অথচ প্রত্যেক রোগীই তার আত্মীয়-স্বজন থেকে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে রক্তের যোগান পেতে পারে। আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি বদান্যতা, কৃপা, উদারতা, সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়ের ইসলামী বিধান উপস্থাপনের মাধ্যমে রক্তদানে আরও উৎসাহিত করা যেতে পারে।
তিন. দেশে পেশাদার রক্তদাতাদের বেশিরভাগই মাদকাসক্ত বা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত। এদের রক্ত ব্যবহারে রোগী সাময়িকভাবে সুস্থ হলেও দীর্ঘমেয়াদে রক্তবাহিত জটিল কোন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই রক্ত পরিসঞ্চালনের আগে নির্দিষ্ট পরীক্ষা করার ব্যাপারে কঠোরতা আরোপ করতে হবে। নিরাপদ রক্তদানের ব্যাপারে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সর্ব সাধারণ পর্যায়ে জনসচেতনতামূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশুদ্ধ রক্ত সরবরাহের উদ্দেশ্যে সন্ধানী, রেডক্রিসেন্ট, বাঁধন প্রভৃতি সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন নিশ্চিতকরণে অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান বিষয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
চার. বিয়ের আগে ছেলে ও মেয়ের রক্ত পরীক্ষা করা উচিত। এতে তাদের অনাগত সন্তানের ভবিষ্যৎ পুরো অন্ধকার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রহিত হবে। বিয়ের পর শারীরিক সম্পর্ক ও রক্তের মাধ্যমে এইচআইভি/ এইডস, হেপাটাইটিস বি ও সি, ডায়াবেটিস, লিউকোমিয়া, সিজোফ্রেমিয়া ইত্যাদি বেশ কিছু সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ হতে পারে। সেক্সুয়্যাল প্রবলেম যেমন স্বামী-স্ত্রীর নরমাল প্রোডাক্টিভিটিও নষ্ট হতে পারে। থ্যালাসেমিয়া নামের এই রেগাটি বর্তমানে আমাদের দেশে প্রচুর। বাবা-মা দুইজনই এই রোগের বাহক হলে সন্তান জন্মের পরই এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং সাধারণত একুশ বছরের বেশি বাঁচে না। এতসব ঝামেলা এড়ানোর জন্যই বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি।
উপসংহার: রক্তের অপর নাম জীবনপ্রবাহ। ফলে রক্তদান এ অর্থে জীবনদান। তাই রক্তদান আত্মার বাঁধন তৈরি করে। রক্তদান নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। রক্তদান ও পরিসঞ্চালনের প্রতি ধর্মীয় ও সামাজিক উভয় প্রকার স্বীকৃতি রয়েছে। নিয়মিত রক্তদানে দাতার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসহ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়। অন্যদিকে প্রতিদিন বিভিন্ন কারণে প্রয়োজনীয় হাজার হাজার ব্যাগ রক্তের চাহিদা পূরণ করে গ্রহীতাদের জীবনও রক্ষা করা সম্ভব হয়। নিয়মিত রক্তদানের মাধ্যমে মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে রক্তদানের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের আগ্রহ ও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে রক্তদান কর্মসূচিতে মানুষ রক্ত দিতে ভিড় করে। বিশেষ করে এতে ছাত্রছাত্রী ও তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ সন্তোষজনক। বেশিরভাগ রক্তদাতাই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। অনেক রক্তদাতা কেবল পরিচিতজনদের প্রয়োজনে রক্তদান করে। অনেকে সমাজ সেবামূলক কাজ হিসেবে রক্তদান করেন। কেউ কেউ তার ভবিষ্যত প্রয়োজনে রক্ত পেতে বিভিন্ন রক্তদাতা সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ করে নিয়মানুযায়ী রক্তদান করেন। তবে জনগণকে আরও সচেতন করতে পারলে স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রম নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। (সমাপ্ত)