করিমগঞ্জের বিধায়ক এবং আসাম কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট কমলাখ্য দে পুরকায়স্থ’র সাথে চেম্বার নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় ॥ আসামের সাথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বিরাজমান জটিলতা নিরসনে রাজ্যসভায় প্রয়োজনীয় প্রস্তাব রাখবো

22

২১ নভেম্বর সোমবার চেম্বার কনফারেন্স হলে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে আসামের উত্তর করিমগঞ্জ এর বিধায়ক এবং আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যকরী সভাপতি কমলাখ্য দে পুরকায়স্থ এর সাথে সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমলাখ্য দে পুরকায়স্থ বলেন, সিলেটের সাথে আমাদের নাড়ির সম্পর্ক। আসামের ৩০ শতাংশ মানুষের আত্মীয়-স্বজন সিলেটে রয়েছেন। আমরা সিলেটের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী। তিনি বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে কিছু পণ্য ভারতে আমদানিও করা হয়। তবে আমদানির বিষয়টি চাহিদার উপর নির্ভরশীল। চাহিদা বাড়লে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিও বাড়বে। তিনি করিমগঞ্জ ও সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বিরাজমান জটিলতা নিরসনে রাজ্যসভায় প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা রাখবেন বলে জানান। তিনি আসামের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সিলেটের ব্যবসায়ীদের ইতিবাচক মনোভাবের প্রশংসা করেন।
সিলেট চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ বলেন, আসাম এবং সিলেটের মধ্যে আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার সাদৃশ্য আমাদেরকে একই সুতোয় গেঁথে রেখেছে। তিনি বলেন, সিলেটের শেওলা ও জকিগঞ্জ এলসি স্টেশন দিয়ে বিপুল পরিমাণ পণ্য সামগ্রী আসাম থেকে বাংলাদেশে আমদানী হয়ে থাকে। তবে আমদানীর তুলনায় সিলেট থেকে রপ্তানী তুলনামুলক কম। শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে এ অসমতা আমাদেরকে দূর করতে হবে। তিনি জানান, বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে সিলেট থেকে কোন এলসি ইস্যূ না হওয়ায় আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, কিন্তু আমরা আশাবাদী অচিরেই এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে আমরা সক্ষম হবো।
সভায় বক্তাগণ আমদানি-রপ্তানি খাতে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যাবলী তুলে ধরেন এবং তা নিরসনে আসামের বিধায়কের সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন আসামের প্রতিনিধিদলের সদস্য কিশোর দাস, বজলুল হক চৌধুরী, সিলেট চেম্বারের সহ সভাপতি মোঃ আতিক হোসেন, পরিচালক মুজিবুর রহমান মিন্টু, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য মোঃ আবুল কালাম, আব্দুল হাদি পাবেল, মোঃ জহির হোসেন, প্রদীপ কুমার দেব, কাজল আহমদ চৌধুরী, মোঃ আবুল কালাম, মোঃ সাহাব উদ্দিন, জয়দেব চক্রবর্তী, মনোরঞ্জন চক্রবর্তী সবুজ, দেওয়ান খালেদ বিন রশিদ, মোঃ আলতাফ হোসেন, মোঃ সোহেল এবং আমদানি-রপ্তানিকারকবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি