ধর্মঘটের খপ্পরে সিলেট বিভাগ

5

স্টাফ রিপোর্টার :
ধর্মঘটের খপ্পরে পড়েছে সিলেট বিভাগ। গতকাল শুক্র ও আজ শনিবার কোন ধরনের যানবাহন চলবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ। সিলেট হবিগঞ্জের পর এখন মৌলভীবাজার এবং সুনামগঞ্জেও ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
শনিবার সিলেটে বাস-মিনি বাস ধর্মঘট ডেকেছে জেলা বাস মালিক সমিতি। পাশাপাশি জেলা সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ওই দিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহনের ধর্মঘট আহ্বান করেছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া বলেন- আমরা চার দফা দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছি। দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবো। তাদের দাবি, সবগুলো পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেয়া, সিএনজিচালিত নতুন অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন দেয়া, লামাকাজী ও শ্যাওলা সেতুতে টোল আদায় বন্ধ এবং হাইওয়েতে টমটম চলাচল বন্ধ করা।
মৌলভীবাজার জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ১৮ ও ১৯ নভেম্বর ধর্মঘট আহ্বান করেছে। বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘোষণা দিয়েছেন মৌলভীবাজার বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন আহমদ। তিনিও জানিয়েছেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই ধর্মঘট। বৃহস্পতিবার সকালে ১৮ ও ১৯ নভেম্বর সুনামগঞ্জ-সিলেট রুটে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছেন সুনামগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক। অবৈধ সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবিতে তাদের এই ধর্মঘট।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জ মটরমালিক গ্রুপের নেতৃবৃন্দ। সভাপতি ফজলুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়কে প্রশাসনের হয়রানি বন্ধের দাবিতে এই কর্মসূচি চলবে।
ধর্মঘট আহ্বানাকারী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ যতই নানা কারণ বা দাবিদাওয়ার উল্লেখ করেন না কেন, সিলেটের বিএনপি নেতৃবৃন্দের পরিস্কার দাবি, সংগঠনগুলোর ওপর সরকার চাপ সৃষ্টি করায় তারা বাধ্য হয়ে এমন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। আসলে সরকার সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ নিয়ে আতঙ্কিত। তবে তাদের কোন বাধাবিপত্তিই জাতীতাবাদী শক্তিকে দমিয়ে রাখতে পারবেনা।