মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত মহাপরিচালক সালমা তানজিয়া ॥ চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে সিলেটে আরেকটি পাসপোর্ট অফিস হচ্ছে

6
পাসপোর্ট সেবা সহজীকরণ ও প্রস্তুতকৃত পাসপোর্ট দ্রুত বিতরণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মানবসম্পদ, ব্যবস্থাপনা ও অর্থ) উম্মে সালমা তানজিয়া।

স্টাফ রিপোর্টার :
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মানবসম্পদ, ব্যবস্থাপনা ও অর্থ) উম্মে সালমা তানজিয়া বলেছেন, প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে পাসপোর্টের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে এখানে আরেকটি পাসর্পোট অফিস করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে পাসপোর্ট সেবা সহজীকরণ ও প্রস্তুতকৃত পাসপোর্ট দ্রুত বিতরণের লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তথ্য জানান।
উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, বাংলাদেশী পাসপোর্ট প্রবর্তন, আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তিনির্ভরকরণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কারও কোন অবদান নেই। এমনকি ২০০৮ সালের আগে রূপকল্প (ভিশন) বলতে কিছুর সঙ্গে জাতির পরিচয় ছিলনা। আর এখন শতবর্ষের পরিকল্পনা (ডেল্টা প্ল্যান) নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদশে হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ। এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পাসপোর্ট প্রাপ্তিও নিশ্চিত করতে সরকার উদ্যাগ নিয়েছে। অতিরিক্ত মহাপরিচালক সিলেটে পাসপোর্ট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিরাজমান ব্যাপক সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হয়ে বলেন, আমরা সমস্যা স্বীকার করিনা বলেই আমাদের সামনে সমস্যা বড় হতে থাকে। আমাদেরকে এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
পাসপোর্ট প্রাপ্তি সহজীকরণ প্রসঙ্গে তিনি জানান, পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা টেস্ট উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্ট করতে পুলিশি তদন্ত (ভেরিফিকেশন) লাগবে না। ই-পাসপোর্ট নবায়ন পাসপোর্ট অফিসে না গিয়ে ঘরে বসে অনলাইনেই করা যাবে।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক নিশ্চিত করেন, সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে পড়ে থাকা প্রস্তুতকৃত হাজার দুয়েক পাসপোর্ট উপজেলা পর্যায়ে বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে। পাসপোর্ট সেবার জন্য একটি কল সেন্টারও করা হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বে করেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমান।
পাসপোর্ট নিয়ে জনদুর্ভোগ, দালালদের উপদ্রব, বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে হয়রানি ইত্যাদি তুলে ধরে এসব সমস্যা নিরসনে বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ রেনু, সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্ণলতা রায় ও সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ মকসুদ। আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো আনোয়ার সাদাত ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তৌছিফ আহমেদ প্রমুখ।