বাংলাদেশ সহ তিন দেশের অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে ভারত

7

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রতিবেশী পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে আগত অ-মুসলমানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দিল ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
চলতি বছরের শেষ দিকেই ভারতের গুজরাট রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন।
কয়েকদিনের মধ্যে দেশটির নির্বাচন কমিশন গুজরাট বিধানসভা ভোটের তফসিল ঘোষণা করবে। তার আগেই এমন ঘোষণা এলো।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। আপাতত গুজরাটের দুই জেলা- মেহসানা ও আনন্দেই এই নাগরিকত্ব প্রদান কার্যকর হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মেহসানা ও আনন্দ জেলার জেলাশাসক কর্তাদের কাছে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তারা পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে এই দুই জেলায় আগত (২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রিস্টান ও পার্শিদের আবেদনের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তবে তারাই আবেদন করতে পারবে যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসেছে।
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ১৬ নম্বর ধারা ও ২০০৯ সালের নিয়ম অনুসারে, এই নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। ১৯৫৫ নাগরিকত্ব আইনের অধীনে ৬ নং ধারা অনুযায়ী নাগরিকরা সংশাপত্র পাবেন। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সংখ্যালঘু অমুসলিম অর্থাৎ ৬ সম্প্রদায়ের মানুষ -হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি এবং খ্রিস্টান যারা ভারতের গুজরাট রাজ্যের আনন্দ এবং মেহসানা জেলায় বসবাসকারী, তাদের ওই দুই জেলার কালেক্টররা নাগরিকত্ব প্রদান করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে কিছু নিয়মের কথাও বলা হয়েছে। যেমন- আবেদন অনলাইনে করতে হবে। আবেদনকারীর আবেদন যাচাই করবেন জেলাস্তরে কালেক্টররা। অনলাইন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যে সব আবেদন যোগ্য মনে করা হবে তাদেরই জেলা কালেক্টর নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা নেবে। যদিও গুজরাট নির্বাচন বলেই বিষয়টা বড়ভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
এর আগে চলতি বছর আগষ্টে, দেশটির গুজরাট রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভির নেতৃত্বে আমেদাবাদ কালেক্টরেটে ৪০ জন পাকিস্তানি হিন্দুকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২০১৭ সাল থেকে, জেলা কালেক্টর কর্তৃক মোট ১০৩২ জন পাকিস্তানিকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ এবং ২০১৮ সালের এক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আহমেদাবাদ, গান্ধীনগর এবং কচ্ছের রান জেলা প্রশাসনের হাত দিয়ে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি এবং খ্রিস্টান-সহ সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। ২০২২ সালে, এখনও পর্যন্ত ১০৭ পাকিস্তানি হিন্দুকে আহমেদাবাদ জেলা ভারতীয় নাগরিকত্ব দিয়েছে।