কেন্দ্রীয় নেতার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দিরাই বিএনপিতে উত্তেজনা

2

একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের দিরাই আগমনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দিরাইর রাজনীতির মাঠ। উপজেলা বিএনপির অভিযোগ বিএনপির কমিটিকে না জানিয়ে কেন্দ্রীয় নেতার দিরাই আসার খবরে দলকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
জানা যায়, আগামী ২৬ অক্টোবর দিরাই উপজেলা কৃষকদলের উদ্যোগে উপজেলার শ্যামারচর বাজারে কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণ করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ঐদিন বিকেলে দিরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুস শহীদ চৌধুরীর স্মরণ সভায় তিনি উপস্থিত থাকবেন। এ ধরনের প্রচারণা চলছে। তবে এ ব্যাপারে কিছুই জানে না দিরাই উপজেলা বিএনপি।
গত নির্বাচনে সারা দেশেই বিএনপির বিকল্প প্রার্থী প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। তেমনি দিরাই-শাল্লা আসনে নাছির উদ্দিন চৌধুরীকে মূল প্রার্থী এবং সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেলকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে রাখা হয়েছি। তবে নাছির চৌধুরী নির্বাচন করেন। এর পর থেকে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে পাবেল দিরাই-শাল্লা মাঠ প্রস্তুত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। নজরুল ইসলাম খান পাবেল এর আমন্ত্রণে দিরাই আসছেন এটা মেনে নিতে পারছে না দিরাই উপজেলা বিএনপি। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দিরাইর রাজনীতির মাঠ। গতকাল দিরাই উপজেলা বিএনপি জরুরী সভা করে দিরাই এবং শ্যামারচর বাজারে একই দিনে একই সময়ে একই স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তাহির রায়হান চৌধুরী পাভেল বলেন, বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম খান সহ জেলা নেতৃবৃন্দ দিরাই আসবেন আমার বাবা দিরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আব্দুস শহীদ চৌধুরী স্মরণে শোকসভা ও স্থানীয় কৃষকদের মাঝে কৃষকদলের উদ্যোগে বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে। এর আয়োজক শহীদ চৌধুরী ফাউন্ডেশন। এটা বিএনপির কোন প্রোগ্রাম নয়।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ চৌধুরী বলেন, কেন্দ্রীয় নেতা দিরাই আসবেন আমরা এ বিষয়টিকে স্বাগত জানাই। তবে বিএনপির কমিটিকে পাশ কাটিয়ে অন্য একটি গ্রুপের অনুষ্ঠানে তিনি আসবেন তা আমরা মেনে নিতে পারবো না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী স্থানীয় বিএনপি কে পাশ কাটিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দিরাই আসতে পারেন না। এ ব্যাপারে আমরা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক কে অবহিত করেছি। দিরাইয়ে বিএনপিকে বাদ দিয়ে বিএনপির নেতাদের কোনো অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না। আমরা মঙ্গল এবং বুধবার দিরাই এবং শ্যামারচর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছি। কর্মসূচি সফল করতে ইতোমধ্যে নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করছেন।