সিলেটে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার

4

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলার লাউয়াছড়া বনের শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ সড়কে ডাকাতির ঘটনায় গত সোমবার তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- বশির আহমেদ (৩৫), আবুল হোসেন (৩৫), কইনুল ইসলাম (২৫), সবুজ মিয়া (৫০), লোকমান মিয়া (২৮), আব্দুল মালিক (২৮), আরিফ মিয়া (২৮)। তাদেরকে সিলেট এবং মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি দা, চাকু, রাম দা, করাতসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ডাকাতদের কাছ থেকে নগদ ৫৩ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন মডেলের ১৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ১৮ অক্টোবর দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে জানান, ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের একজন আদালতে ডাকাতির ঘটনায় ১৪ থেকে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এই ডাকাত দল একই প্রক্রিয়ায় গত ১৩ অক্টোবর রাতে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার রশিদপুর নামক স্থানে ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন আসামিকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) সুদর্শন কুমার রায় জানান, ডাকাতির ঘটনার পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতারের জন্য জেলা পুলিশ তৎপর ছিল। জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং কমলগঞ্জ থানার টিম যৌথভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের নামে বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতি, খুনের একাধিক মামলা রয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, পুলিশ জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে বদ্ধ পরিকর। আগামী দিনগুলোতেও চুরি ডাকাতি প্রতিরোধসহ চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী গ্রেফতারের ধারা অব্যাহত থাকবে।
জেলা পুলিশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আবু নাসের মোহাম্মদ রিকাবদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন), জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১ আব্দুল হাই চৌধুরী, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম, ডাকাতি মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।