চা খেয়ে একই পরিবারের ৫ জন অসুস্থ

7
মৌলভীবাজারে চা খেয়ে একই পরিবারের ৫ জন জন হাসপাতালে ভর্তি।

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
চা খেয়ে একই চা শ্রমিক পরিবারের শিশুসহ ৫ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অসুস্থরা হলেন গোপাল দোষাদ (৪০), তার স্ত্রী শান্তি দোষাদ (৩৫), মেয়ে বৃষ্টি দোষাদ (১৮), ছেলে আকাশ দোষাদ (১৪) ও অঙ্কুশ দোষাদ (৭)।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার সন্ধ্যারাতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ফিনলে টি কোম্পানির ভাড়াউড়া চা বাগানে। পরে তাদেরকে দ্রুত শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থা অবনতি সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তাদেরকে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যারাতে গোপাল দোষাদের মেয়ে চা বানিয়েছিল। চা খাওয়ার পর তাদের নাক-মুখ দিয়ে গ্যাসের মতো বের হচ্ছে। পরে পরিবারের ৫ জনেরই একই সমস্যা দেখা দেয়।
শান্তি দোষাদ বলেন, চা খাওয়ার কিছুক্ষণ পর আমার বড় ছেলে বমি করতে শুরু করে। আমি প্রতিবেশীর ঘরে সহায়তা করার কথা জানালে সেখানে আমি মাথা ঘুরে পড়ে যাই। পরে প্রতিবেশী ও স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার যথটুকু মনে রান্নাঘরের জানালা দিয়ে কেউ হয়তো চেতনানাশক কিছু খাবারে দিয়েছে। আমরা সেটা খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ি। কেউ হয়তো শত্রুতা করে এমনটা খাবারে কিছু মিশিয়ে দিয়ে ক্ষতি করতে চেয়েছে।’
গোপাল দোষাদের ভাতিজা ইন্দ্রজিৎ দোষাদ বলেন, গোপাল দোষাদ ও তার ছেলে আকাশ দোষাদ এখনো খুবই অসুস্থ। চা ছাড়া অন্য কিছু খেয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু চা খেয়েছে। খাওয়ার কিছুক্ষণ পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক অজন্তা দেবী বলেন, হাসপাতালে শিশুসহ ৫জন ভর্তি হয়েছিলেন। তার মধ্যে একজনের অবস্থা একটু খারাপ ছিল। অন্যরা মোটামুটি সুস্থ ছিল। তারা কি খেয়ে অসুস্থ হয়েছে, তা বোঝা যায়নি। লক্ষণ দেখে মনে হয় ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু খেয়ে এমনটা হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। তাদেরকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা প্রদানের জন্য রেফার্ড করা হয়েছে।’