আব্দুস সালাম স্মরণে আনজুমানের সভায় বক্তারা ॥ দেশে-বিদেশে মসজিদ-মাদ্রাসা-এতিমখানা প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন আমৃত্যু তৎপর

15

যুক্তরাজ্য মুসলিম কমিউনিটির বরেণ্যে ব্যক্তিত্ব দা’ওয়াতুল ইসলাম ইউ.কে এন্ড আয়ারের প্রতিষ্ঠাতা আমীর এ কে আব্দুস সালাম স্মরণে সিলেটে দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বাদ আসর আনজুমানে খেদমতে কুরআনের উদ্যোগে সংগঠনের কার্যালয়ে এ দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভা হয়।
আনজুমান সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ একরামুল হকের সভাপতিত্বে ও হাফিজ মিফতাহুদ্দিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ সফররত দা’ওয়াতুল ইসলাম ইউ.কে’র সাবেক আমীর একেএম মওদুদ হাসান, দারুল উম্মাহ মসজিদ লন্ডনের চেয়ারম্যান ও মরহুমের জামাতা ব্যারিষ্টার মাওলানা আহমদ আব্দুল মালিক।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দি সিলেট ইসলামিক সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফজলুর রহমান, ইবনে সিনা হাসপাতালের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, উত্তর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আনোয়ার হোসেন খান, দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক ও আনজুমানে খেদমতে কুরআনের সহ-সভাপতি মুকতাবিস উন নুর, মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ, শিক্ষাবিদ আব্দুশ শাকুর ও অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম মাদানী প্রমুখ।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, এ কে আব্দুস সালাম দা’ওয়াতুল ইসলামের এক নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন। মানবতাই ছিল তার কাজ ও ধর্ম। তাঁর মাঝে ছিল না কোন অহঙ্কার। ছিল না কোনো চাওয়া। কাজের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের মানুষের অন্তরে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। তাঁর হাতেই প্রতিষ্ঠা পায় ইস্ট লন্ডন মসজিদ যা এখন ইউরোপের সর্ববৃহৎ মসজিদ হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি তাঁর হাত ধরেই দেশে-বিদেশে মসজিদ-মাদ্রাসা-এতিমখানা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, একে আব্দুস সালাম দিনের অধিকাংশ সময় মানবতার কল্যাণে অতিবাহিত করতেন। তাঁর কাজের কোনো সীমা ছিল না। মুসলিম এইডসহ বিভিন্ন মুসলিম এনজিও’র ট্রাষ্টি হিসেবে তিনি আমৃত্যু ভূমিকা রেখেছেন।
স্মরণসভার শেষে পর্যায়ে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন আনজুমানের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ একরামুল হক। বিজ্ঞপ্তি