সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হুদা মুকুট ॥ সুনামগঞ্জ জেলা আ’লীগ সভাপতি ও সম্পাদকের বক্তব্য নির্লজ্জ মিথ্যাচার

20

একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জ জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট বলেছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় শৃঙ্খলা অমান্য করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমাকে জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি পদসহ দলীয় পদবী থেকে নাকি জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক অব্যাহতি প্রদান করেছেন। সেই সাথে জেলা আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি জরুরী সভা আহবান করে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাকে নাকি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তবে প্রকৃতপক্ষে ওই জরুরী সভায় এ বিষয়ে কোন আলোচনা হয় নি এবং কেউ আমাকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ ও করে নি। এছাড়াও এই সভায় কোরাম হয়নি। অনেক পদধারি সদস্যদের দাওয়াত করেননি। জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের এ ধরনের বক্তব্য একটি নির্লজ্জ মিথ্যাচার যা অগঠনতান্ত্রিক, অগণতান্ত্রিক ও এখতিয়ার বহির্ভূত। আমি এসব বে-আইনি কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানাই। মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো জানান, গঠনতন্ত্রের ৪৬ ধারায় বর্ণিত আছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে কারন দর্শানোর জন্য সুযোগ দানে সাধারন সম্পাদক নোটিশ দিতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু আমাকে এখনো কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় নি। নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটরদের বিভ্রান্ত করতেই তারা এ সকল কার্যকলাপ করছেন। তিনি আরো বলেন, আমি কোনদিন ও দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করি নি। যদি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দলীয় প্রতীক নৌকা পেতেন তাহলে আমি অবশ্যাই নির্বাচন বর্জন করতাম। স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধীতা করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন আগে তাদের বহিষ্কার করা উচিত যারা বিগত দিনে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন করেছেন। নুরুল হুদা মুকুট আরো বলেন, আ’লীগের দুঃসময়ে সুনামগঞ্জের রাজপথে থেকে লড়াই করেছি, দলকে আগলে রেখেছি। তখন কোন অতিথি পাখিকে সুনামগঞ্জের রাজপথে দেখা যায় নি। এখন আ’লীগের সু-সময়ে তারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। তিনি আরো বলেন, সুনামগঞ্জের রাজপথে বিএনপি এখন বড় বড় মিছিল বের করছে। আর জেলা আ’লীগ সভাপতি ও সম্পাদক তারা এ সময় ঘাপটি মেরে বসে থাকেন। সামনে আরও কঠিন সময় আসছে কিন্ত এদের দ্বারা শুধু সংগঠন দুর্বল করা সম্ভব। সামনে আমাদের জন্য কঠিন সময় আসছে। তাই জেলা আ’লীগকে আরো শক্তিশালী করতে তিনি নতুন কমিটি গঠনের আহবান জানান। নতুন নেতৃত্ব দরকার যারা বিএনপি জামায়াতকে মোকাবেলা করতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল কবির শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু শঙ্কর চন্দ্র দাস, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. আব্দুল করিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এড. আজাদুল ইসলাম রতন, বন বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শীতেষ তালুকদার মঞ্জু, তাহিরপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক অমল কান্তি কর, দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ মিয়া, সদস্য এড কল্লোল তালুকদার চপল, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য সবুজ কান্তি দাস, যথীন্দ্র মোহন তালুকদার প্রমুখ।