পরিষ্কার কথা, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করব না -ওবায়দুল কাদের

17

কাজিরবাজার ডেস্ক :
মিয়ানমারের উস্কানি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমারের বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে এবং সংযত হয়ে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি বলেন, আমাদের যেখানে যাকে এ ব্যাপারে দায়িত্ব দেওয়া দরকার যথাযথ ব্যক্তিদের যথাস্থানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পরিষ্কার কথা, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করব না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রশাসন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রস্তুত আছে। তবে আমরা আক্রমণকারী হিসেবে চিহ্নিত হবো না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে উভয়পক্ষ আলাপ আলোচনার টেবিলে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান করতে চাই। প্রয়োজনে বিষয়টা আমরা জাতিসংঘে নিয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ ব্যাপারে জাতিসংঘে বক্তব্য দেবেন। সেখানে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
এখন যুদ্ধ করার সময় না মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে জ্বালানি সংকট চলছে। গোটা বিশ্বে আজকে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। যে কারণে আমাদের বাধ্য হয়ে জ্বালানি, জিনিসপত্রে দাম বাড়াতে হয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় দিন দিন বাড়ছে। কাজেই যুদ্ধটা আমাদের না। আরেকটা যুদ্ধ এখানে বাধানোর দরকার নেই। আশা করি শান্তিপূর্ণ সমাধানই কাম্য।
আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনের নামে মিথ্যাচার করছে। প্রতিদিনই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দিবাস্বপ্ন দেখছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদালত ফয়সালা করে দিয়েছেন। এখানে আমাদের কোনো এখতিয়ার নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তে মিউজিয়ামে চলে গেছে। ওটা আর ফিরে আসার সম্ভাবনা আপাতত নেই।
নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনেই নির্বাচন হবে। আর এই সরকার মূল দায়িত্ব পালন করবে না। নির্বাচনকালীন সময়ে অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো এই সরকার রুটিন ওয়ার্ক পালন করবে। যারা নির্বাচনে দায়িত্বে থাকবে তারা সরকারের অধীনে থাকবে না। তারা ইসির অধীনে থাকবে এবং নির্দেশনা অনুযায়ী চলবে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনা পয়েন্টে মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত সেতু পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
মধুমতি সেতু নির্মাণ ও উদ্বোধন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, এই সেতু বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি। শুধু নড়াইলবাসীর জন্য নয়, এই প্রতিশ্রুতি যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদা, খুলনাসহ গোটা অঞ্চল সুফল পাবে। ৬৯০ মিটার দীর্ঘ ৬ লেন বিশিষ্ট এ সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৯৫৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আমরা যথা সময়ে কাজ শেষ করেছি। অক্টোবর মাসেই বহু প্রতিক্ষিত এ সেতুটি উদ্বোধন হবে। শেখ হাসিনা কথা দিয়ে কথা রেখেছেন।
এ সময় নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা, গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন, মধুমতি সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান, কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।