আ’লীগ সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে – মির্জা ফখরুল

15

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করতে-গণতান্ত্রিক আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর মিরপুরসহ সারা দেশে বিএনপির কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশের অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সব সময় বলি আওয়ামী লীগ একটা সন্ত্রাসী দল। তাদের জন্মই সন্ত্রাসের মধ্যে দিয়ে। সন্ত্রাস না করলে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। গত ১৫ বছর সন্ত্রাস করে ত্রাস করে তারা ক্ষমতায় টিকে আছে। তাদের মূল চরিত্রই হলো সন্ত্রাস করা।
তিনি বলেন, আজকে চাল-ডাল-তেলের দাম কমানোর জন্য যে আন্দোলন শুরু হয়েছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর জন্য। আন্দোলন শুরু হয়েছে দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। তখন এই আওয়ামী লীগের সরকার তাদের পেটুয়া বাহিনী, হত্যাকারী বাহিনীকে নামিয়ে দিয়েছে। আমরা গত আগষ্ট মাস থেকে আন্দোলন করছি। এসময় ভোলাতে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে যুবদলের নেতাকে হত্যা করেছে। গত (শনিবার) আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানকে আহত করেছে, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, তাবিথ আউয়ালের রক্ত ঝরিয়েছে। নারী নেত্রীদের পর্যন্ত রেহাই দেয়নি, তাদেরও আঘাত করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, মিয়ানমার বোমা মেরে শেষ করে দিচ্ছে। তারা সীমান্তে বোমা মারছে, আমাদের এখানে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের তারা গুলি করছে। সরকার নিরব। নিরব কেন? আসলে এদের (সরকার) কোমর সোজা নাই। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলে তারা বুক ফুলিয়ে মিয়ানমারের বোমা নিক্ষেপের প্রতিবাদ করতে পারছে না, বিশ্ব জনমতকে এক জায়গায় আনতে পারছে না।
তিনি বলেন, আজকে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্ব।
সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এখনও সময় আছে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যে নিয়ে জনগণ নতুন সংসদ গঠন করবে।
সব রাজনৈতিক দল-গণতন্ত্রকামী মানুষকে আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই ভয়াবহ আওয়ামী সরকার যারা আমাদের সব অর্জনগুলোকে শেষ করে দিচ্ছে, যারা দেশের আত্মাকে বিসর্জন দিয়ে এসেছে। তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূইয়া, জয়নুল আবদিন ফারুক, মসিউর রহমান, রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, আজিজুল বারী হেলাল, মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, কামরুজ্জামান রতন, সাইফুল আলম নীরব, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, মহানগর উত্তর বিএনপির মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন।