ইউক্রেনে শান্তির সম্ভাবনা খুবই কম – জাতিসংঘ মহাসচিব

4

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। স্থানীয় সময় বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, দেশটিতে শান্তির সম্ভাবনা খুবই কম।
ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর বন্দর দিয়ে রাশিয়ার খাদ্য ও সার রপ্তানি সংক্রান্ত ‘বাধা’ কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টা নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
পরে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নিজেদের মধ্যকার কথোপকথন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন গুতেরেস। সেখানেই ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত সমাপ্তি হচ্ছে বা সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে; তা ভাবা ভুল হবে। চলমান সংঘাত শুধু ইউক্রেনকে ধ্বংস করছে তা নয়; বিশ্ব অর্থনীতিকে সেদিকে নিয়ে যাচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, আমি অনুভব করছি, আমরা এখনও শান্তি থেকে অনেক দূরে। যদি বলি দ্রুত এ থেকে পরিত্রাণ পাবো, মিথ্যা বলা হবে। বিষয়টি নিয়ে আমার কোনো বিভ্রান্তি নেই। বর্তমান মুহূর্তে শান্তি চুক্তির সম্ভাবনা ন্যূনতম। এমনকি যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।
গুতেরেস জানান, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেনের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছেন। আশা করছেন, দুই পক্ষের সঙ্গেই একদিন উচ্চস্তরের আলোচনায় বসতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছর একাধিক দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি রয়েছে বলেও সতর্ক করেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি বলেন, গত ২২ জুলাই কৃষ্ণসাগর বন্দর থেকে ইউক্রেনীয় শস্য পাঠানো শুরু করা ও বিশ্ব বাজারে রাশিয়ার খাদ্য ও সার সরবরাহের চুক্তির পরও আমাদের দুর্ভিক্ষের শঙ্কা করতে হচ্ছে।
রাশিয়ান খাদ্য ও সারের কিছু রপ্তানি শুরু হয়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সেটি অনেক কম। সার সংকট একটি ‘নাটকীয়’ পর্যায়ে পৌঁছেছে সারের উচ্চ মূল্য ইতিমধ্যেই খাদ্য শস্যের রোপণকে হ্রাস করেছে। এক্ষেত্রে রাশিয়ার অ্যামোনিয়া রপ্তানি বাড়ানো প্রয়োজন।
আন্তোনিও গুতেরেস আরও বলেন, আমরা সার বাজার সঙ্কটে পড়ার ঝুঁকিতে আছি। আমাদের কাছে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খবর আসছে, চাষাবাদ কমে যাচ্ছে। এর অর্থ ২০২২ সালে প্রকৃত খাদ্যাভাবের ঝুঁকিতে আছি।
উল্লেখ্য, অ্যামোনিয়া মূলত সার তৈরির অন্যতম একটি কাঁচামাল। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ইউরোপের অনেক সার প্রস্তুতকারী কোম্পানি উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।