নগরীতে একটি আইসক্রিম ফ্যাক্টরীসহ ৪টি প্রতিষ্ঠানকে অর্ধলক্ষ টাকা জরিমানা

6

স্টাফ রিপোর্টার  :
সিলেটে কারখানায় আইসক্রিম তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে কাপড়ের রং, স্যাকারিন তারিখ ও লেবেলবিহীন ফ্লেভার। প্যাকেটজাত আইসক্রিমে নেই উৎপাদন বা মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ। আর এসব বিষ শিশুরাই খেয়ে থাকে বেশি। অপরদিকে, এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রয় ও মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করে বিক্রি করা হচ্ছে অতিরিক্ত দামে।
এসব অভিযোগ নগরীতে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি আইসক্রিম ফ্যাক্টরি ও একটি এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রয়ের ৩টি দোকানে প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
জানা যায়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পক্ষ থেকে পরিচালিত এ অভিযানে নগরীর নাইওরপুলে শিল্পী আইসবার ফ্যাক্টরিকে আইসক্রিম তৈরির সময় অনুমোদনহীন রং, তারিখ ও লেবেলবিহীন ফ্লেভার ব্যবহার এবং প্যাকেটজাত আইসক্রিমে উৎপাদনের তারিখ না দেওয়ায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া নির্ধারিত মূল্যের অধিক দামে এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রয় ও মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করার অপরাধে নগরীর মিরাবাজারের কর্ণফুলী গ্যাস হাউসকে ২০ হাজার, শিবগঞ্জে চুলা ঘরকে ২ হাজার ও মেজরটিলায় সেবা এন্টারপ্রাইজকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (মেট্রো) শ্যামল পুরকায়স্থ ও সহকারী পরিচালক মো. সেলিম মিয়া। অভিযানে সহায়তা করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও স্থানীয় বাজার কমিটির সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য, মাঝে-মধ্যে অভিযান পরিচালনার পরও শোধরাচ্ছেন না সিলেটের আইসক্রিম ফ্যাক্টরিগুলোর মালিকরা। আগে গত সোমবার ১২ সেপ্টেম্বর একই অপরাধে দক্ষিণ সুরমা থানার অনন্তপুর তেমুখী পয়েন্ট এলাকার ফেমাস আইসবার ফ্যাক্টরি ও জালালবাদ থানার কুমারগাঁও এলাকার নাজমুল আইসবার ফ্যাক্টরিকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়াও চলতি বছরের ২২ এপ্রিল গোয়াইনঘাটে একটি আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে এভাবে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ফ্যাক্টরিটি সিলগালা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।