চাঁদনীঘাটে খোলা বাজারে ৩০ টাকা দরে চাল বিক্রির উদ্বোধন

13
নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ৩০ টাকা কেজিতে ওএমএস এর চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই মানুষ লাইন ধরে সে চাল সংগ্রহ করছেন। ছবিটি নগরীর ক্বীন ব্রীজ এলাকা থেকে তোলা। ছবি-মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর ক্বীন ব্রীজ এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খোলাবাজারে চাল বিক্রির (ওএমএস) কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।
সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৯ জন ডিলারের মাধ্যমে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এরমধ্যে ৭টি ট্রাক ও ৮টি দোকানে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পুরো বিভাগের ১৪০ জন ডিলার রয়েছেন।
ওএমএস কার্যক্রমে টিসিবির কার্ডধারীরা ১৫ দিন পর পর ৫ কেজি করে চাল ৩০ টাকা কেজি দরে মাসে দুই বারে মোট ১০ কেজি ক্রয় করতে পারবেন। এ ছাড়া ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করবে সরকার। একই সঙ্গে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও শুরু হয়।
উদ্বোধনকালে সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত, সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সাদিয়া বিনতে সোলায়মান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সিলেট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, নয়ন জ্যাতি চাকমা, সিলেট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অঞ্জন কুমার দাস, সিলেট এ এস বির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় মৈত্রী, সিলেট খাদিমনগরের এ এস বির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারগরি) বিপ্লব কুমার দাস, খাদ্য পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, খাদ্য পরিদর্শক মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সারা দেশে ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রের ডিলারের মাধ্যমে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে সব কেন্দ্রেই চাল বিক্রি করা হবে। আটা বিক্রি হবে ৪০৩টি কেন্দ্রে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে মোট ৫০ লাখ ১০ হাজার ৫০৯টি পরিবারকে প্রতিমাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
এই কার্যক্রম সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, মার্চ, এপ্রিল-এ ৫ মাস পরিচালিত হয়। সারা দেশে ডিলার সংখ্যা ১০ হাজার ১১০ জন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে প্রতিমাসে বিতরণ করা হবে এক লাখ ৫০ হাজার ৩১৫ টন চাল।
এদিকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরা ওএমএস কেন্দ্রে এসে আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে চাল নিতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, টিসিবি কার্ডধারীরা ওএমএসের মতো ন্যায্যমূল্যে চাল পাবেন। তাই কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল প্রদান করা হবে।