চা-শ্রমিকদের কর্মবিরতির সময়ের মজুরি ও রেশন প্রদানের দাবি চা-শ্রমিক সংঘের

8

চা-শ্রমিকদের ১৯ দিন কর্মবিরতি পালনের পর শ্রমিকরা কাজে দিলেও কর্মবিরতিকালীন সময়ের মজুরি ও রেশন থেকে শ্রমিকদের বঞ্চিত করার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছে চা-শ্রমিক সংঘ। ৩০ আগষ্ট গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির আহবায়ক রাজদেও কৈরী ও যুগ্ম-আহবায়ক শ্যামল অলমিক এই অভিযোগ করে চা-শ্রমিকদের কর্মবিরতিকালীন সময়ের মজুরি ও রেশন প্রদানের দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন দীর্ঘ ১৯ দিনের লাগাতার কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ, রাজপথ-রেলপথ অবরোধের মতো কঠিন সংগ্রামের পর প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণের পর গত ২৯ আগষ্ট থেকে সারাদেশের চা-শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন প্রতিবার নির্ধারিত সময়ের পর শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করে স্থায়ী শ্রমিকদের বর্ধিত মজুরি এরিয়ার হিসেবে প্রদান করা হলেও প্রায় ৩০ হাজার ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের এরিয়ার (জনপ্রতি প্রায় ৩০ হাজার টাকা) টাকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা সাধারণত চা-উৎপাদনের মৌসুমে ৪/৫ মাস কাজ স্থায়ী শ্রমিকের সমান কাজ করেন। কিন্তু মালিকপক্ষ ক্যাজুলায় শ্রমিকদের রেশন, আবাসন, চিকিৎসা ইত্যাদি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়। যেহেতু মালিকদের টালবাহনা ও সময়ক্ষেপনের কৌশণের কারণে নির্ধারিত সময়ের পর( প্রায় ২০ মাস) মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে তাই ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের এরিয়ার টাকা পরিশোধ করতে হবে। নেতৃবৃন্দ ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের এরিয়ার টাকাসহ রেশন, আবাসন, চিকিৎসা ইত্যাদি সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান। একই সাথে শ্রমিকদের প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকাও যাতে যথাযথভাবে জমা হয় সে ব্যাপারে প্রফিডেন্ট ফান্ড অফিস ও শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের তদারকি করার আহবান জানাান। একই সাথে নেতৃবৃন্দ আগামী জানুয়ারিতে নতুন মজুরি নির্ধারণের জন্য যাতে চা-শ্রমিকদের আবারও রাজপথে নামতে না হয় সে ব্যাপারে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি