শাবিতে মানববন্ধন ॥ সিলেটে কলেজ শিক্ষক লাঞ্ছনায় দায়ী ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি

16
শাবি সমাজকর্ম বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং এম সাইফুর রহমান কলেজের শিক্ষক ইকবাল হোসেন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন।

শাবি থেকে সংবাদদাতা :
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এম সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমাজকর্ম বিভাগের ১৯৯৫-৯৬ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে মানববন্ধন থেকে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা৷
সোমবার (২৯ আগষ্ট) দুপুরে শাবিপ্রবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে সমাজকর্ম সমিতি এবং সমাজকর্ম এলামনাই এসোসিয়েশনের আয়োজনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজকর্ম সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজকর্ম সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, সমাজকর্ম অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী ওয়াক্কাস এবং সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কৃত্তিবাস পাল।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের বিভাগের একজন সাবেক শিক্ষার্থী এবং এম সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ইকবাল হোসেন উনারই নিজের কলেজের অধ্যক্ষ দ্বারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মানসিকভাবে নিগৃহীত হয়েছেন৷ এই ঘটনায় আমরা অত্যন্ত ব্যথিত ও মর্মাহত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একটি শান্তির জায়গা, শৃঙ্খলার জায়গা। এম সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সেই শিষ্টাচার ভঙ্গ করে অনৈতিক ও ঘৃণিত কাজ করেছেন। আজকের এই মানববন্ধন থেকে আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ওই অধ্যক্ষের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং কলেজ থেকে তাকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৩ আগষ্ট) এম সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে শিক্ষকদের এক আলোচনা সভায় অধ্যক্ষের কিছু কথায় সম্মতি না দেওয়ায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ইকবাল হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মারধর করেন অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণ এবং বিচারের দাবি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।