বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরেই সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন – পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন

3
নটর ডেম ন্যাচার স্টাডি ক্লাব আয়োজিত ১৩তম জাতীয় ন্যাচার সামিট-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এম.পি।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এম.পি বলেছেন, স্বাধীনতার পরেই বঙ্গবন্ধু সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। আমাদের পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষার জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশকে আমরা এমন একটি দেশে রূপান্তর করতে চাই যেখানে শব্দ দূষণ থাকবে না। অযথা হর্ণ বন্ধ করতে হবে। সব ধরণের শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করতে হবে। সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তবেই পৃথিবীর বুকে আমরা সভ্য জাতি হিসেবে বেড়ে উঠতে পারবো। আমাদের আগামী প্রজন্মরা সুন্দর বাংলাদেশ পাবে।
নটর ডেম ন্যাচার স্টাডি ক্লাব আয়োজিত ১৩তম জাতীয় ন্যাচার সামিট-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। শুক্রবার দিনব্যাপী সিলেটের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কলার্সহোম শাহী ঈদগাহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে ১৩ তম জাতীয় ন্যাচার সামিট -২০২২ অনুষ্ঠিত হয়।
নটর ডেম কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও, সিএসই এর সভাপতিত্বে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কলার্সহোম শাহী ঈদগাহ ক্যাম্পাসের অধ্যক্ষ লে. কর্ণেল (অব.) মুনীর আহমেদ কাদেরী। প্রভাষক কামরুল হক জুয়েলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তর প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার পরিচালক (উপসচিব) সৈয়দা মাসুমা খানম ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরুল হাসান।
এদিন সকালে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাফিজ মজুমদার ট্রাস্টের একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কবির এইচ চৌধুরী। ন্যাচার স্টাডি ক্লাবের মডারেটর বিপ্লব কুমার দেবের স্বাগত বক্তব্যের পর বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশপ অব সিলেট শরত ফ্রান্সিস গোমেজ।
ন্যাচার স্টাডি ক্লাবের তত্ত্বাবধানে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ইভেন্ট হলো- আর্ট কম্পিটিশন, গ্রিণ বি (অলিম্পিয়াড), ন্যাচার কুইজ, প্রজেক্ট ডিসপ্লে, ওয়াল ম্যাগাজিন, গ্রিণ ম্যারাথন,কনফাব প্রেজেন্টেশন ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী আরো বলেন, প্রকৃতি নিরব কিন্তু একশন নিতে জানে। প্রকৃতিকে আমরা কেউ যেন অহেতুক বাধা সৃষ্টি না করি। পাহাড় কাটা, পানি দূষণ, কলকারখানার শব্দ ও নির্গত ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। নদী নালা ভরাট বন্ধ করতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। সৌরশক্তি ও জ্বালানি বাড়াতে হবে। বনায়ন ও বৃক্ষরোপণে জোর না দিলে দুর্যোগ আমাদের পিছু ছাড়বে না। প্রকৃতির জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি