তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের জ্বালানিবাহীর চালান ত্রিপুরা রাজ্যে পাঠানো হয়েছে

5
ভারতের আসাম থেকে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা জ¦ালানিবাহী ১০টি লরি সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।

গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
বাংলাদেশের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সঙ্গে ভারতের ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডের (আইওসিএল) মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চুক্তির আওতায় সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের জ্বালানিবাহীর একটি চালান সে দেশের ত্রিপুরা রাজ্যে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) দুপুরে বাংলাদেশের সড়ক পথ ব্যবহার করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের জ্বালানি সরবরাহ রাখতে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেড (আইওসিএল) এর ১০টি কন্টিইনারে এসব তেল ও তরলীকৃত গ্যাস (এলপিজি) ভারতের আসাম থেকে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে পাঠায়। ভারতীয় জ্বালানিবাহী ওই ১০টি কন্টেইনারের মধ্যে ৭ টি কন্টেইনারে ৮৩ মে. টন জ্বালানি তেল ও ৩ টি কন্টেইনারে ২১ দশমিক ১৯ মে. টন তরলীকৃত গ্যাস (এলপিজি) রয়েছে।
তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতীয় জ্বালানি পরিবহনকারী গাড়ি প্রবেশকালে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট এর উপ কমিশনার মো. আল আমিন, তামাবিল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক মাহফুজুল ইসলাম ভূইয়া, রাজস্ব কর্মকর্তা সালেহ আমদ, গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এক. এম. নজরুল ইসলাম, তামাবিল বিজিবি’র কোম্পাণী কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. সুরুজ আলী ও তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) রুনু মিয়া, ভারতীয়দের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় অয়েল করপোরেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার মাজহারুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট এর উপ কমিশনার মো. আল আমিন জানান, বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তির আওতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় এসব তেলবাহী ট্যাংকলরি তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সব ধরনের তল্লাশি শেষে এই গাড়িগুলো সিলেটের সড়কপথ দিয়ে মৌলভীবাজারের চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেয়। ওই শুল্ক স্টেশন দিয়ে জ্বালানিবাহী ট্যাংক লরিগুলো ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কাইলাশহর যাবে। ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল সরবরাহের পর খালি যানবাহনগুলো বাংলাদেশের চাতলাপুর চেকপোস্ট হয়ে একই পথে আবার ভারতে ফিরে যাবে। তিনি বলেন, এই পরীক্ষামূলক ট্রানজিট কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে বন্ধুপ্রতীম উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক যেমন নতুন মাত্রা পাবে তেমনই আমাদের রাজস্বখাত সমৃদ্ধ হবে।
জানা যায়, বাংলাদেশের সড়ক পথ ব্যবহার করে ভারতের এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে জ্বালানি পরিবহনের জন্য গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সঙ্গে ভারতের ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডের (আইওসিএল) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের সড়কপথ ব্যবহার করে ভারতীয় জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকলরি ত্রিপুরায় যাতায়াত করবে। তবে এ ক্ষেত্রে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকলরি পরিবহনে বাংলাদেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করতে ভারতের শুল্ক দিতে হবে।