সরকার চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির বিষয় নিয়ে সচেতন আছে -পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

3
জাতির পিতার ৪৭তম শাহদাত বার্ষিকী ও এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি।

একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
জাতির পিতার ৪৭তম শাহদাত বার্ষিকী ও এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সরকার চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির বিষয় নিয়ে সচেতন আছে। যারা কায়িক শ্রম দিয়ে জীবনযাপন করে তাদের প্রতি ন্যায় বিচার করা প্রয়োজন। তারা দারিদ্র্যতা ও অবিচারের স্বীকার। চা বাগানের শ্রমিক কল্যাণের জন্য অনেক সংস্কারের প্রয়োজন আছে। সরকার চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির বিষয়ে সচেতন আছে। বাগান মালিকরা তাদের অনেক সুযোগ সুবিধা দেন তা টাকায় নয়। সরকার চায় ন্যায় বিচারের মজুরি নিশ্চিত করতে। শনিবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর হাছনরাজা মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গির হোসেন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহাব রাশেদ, শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, যোগেশ্বর চন্দ্র দাস ও কৃতি শিক্ষার্থী রাইসা রহমান চন্দ্রিমা।
অনুষ্ঠানে ২০২১ শিক্ষা বর্ষের এসএসসি তে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৭৫ জন শিক্ষার্থীকে ৬ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড, ও ১০১ জন এইচএসসি জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের ৮ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড সহ শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর বই তুলে দেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ। বাংলাদেশে ডলারের রিজার্ভ ভালো আছে। এখন সারা বিশ্বে গ্যাসের নুতন বাজার সৃষ্টি হয়েছে। সে জন্য বাংলাদেশের উপর চাপ রয়েছে। গ্যাস কয়লা এমন জিনিস নয় যে খোঁজলেই পেয়ে যাবো। গ্যাস কয়লা অনুসন্ধানের সময় লাগবে। আগামী দিনের শক্তির উৎস গ্যাস নয় কয়লা নয় তেল ও নয়। আগামীদিনের শক্তির উৎস হবে নবায়ন যোগ্য সৌরশক্তি। সরকার সে পথে হাটছে। বাংলাদেশ একা নয় সারা বিশ্বে সৌর শক্তির ব্যবহারের দিকে যাবে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাংলাদেশের ভালো আছে। বিএনপির আমলে ২০০৯ সালে রিজার্ভ ৫ বিলিয়ন ডলার ছিল সে জায়গা থেকে সরকার ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। একটা মহল রিজার্ভ নিয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। রিজার্ভ কিছু দিন কমলেও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর কারণে এখন রিজার্ভ বাড়তে শুরু করেছে। প্রবাসীরা তাদের শ্রমেঘামে অর্জিত অর্থ দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। প্রবাসীরা এখন বেশি পরিমাণে টাকা দেশে পাঠাচ্ছেন। তারা আমাদের রিজার্ভ বৃদ্ধির মহানায়ক। স্যালুট দেই তাদেরকে। আমাদের রিজার্ভ তলানিতে থাকার প্রশ্নই ওঠে না ৩৯ শে নেমে আবার ৪০ ক্রস করেছে। রিজার্ভ নিয়ে ভয়ের কোন কারণ নেই। ডলারের দামের উপর সরকারের একটি প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ছিল বিশ্ব বাজারের চাপে তা ভেঙে পড়ে। তাই ডলারের দাম বেড়ে গিয়ে ছিলো। এখন আবারও ডলারের দাম কমতে শুরু করেছে। এটি আরও সুসংহত হবে। ডলার আমাদের টাকা নয়। এটি বিশ্ব মোড়ল মার্কিনীদের টাকা।