মাধবপুরে খুশনাহার হত্যার ঘটনা ॥ স্বামী ও দ্বিতীয় স্ত্রীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান

6

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় খুশনাহার আক্তারকে (৪৫) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন স্বামী তাজুল ইসলাম (৪৫) ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ছালেমা খাতুন (৩৮)। পারিবারিক কলহের জেরে গলায় রশি পেছিয়ে ওই নারীকে খুন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টায় মাধবপুর থানা পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে বুধবার (১৭ আগষ্ট) মাধবপুর থানা পুলিশ চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানা এলাকার একটি গ্রাম থেকে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির পাশের একটি জঙ্গল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রশি উদ্ধার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। এদিনে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা আক্তার ১৬৪ ধারায় অভিযুক্ত দুইজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
অভিযুক্তরা হচ্ছেন- মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের ফরহাদপুর গ্রামের মৃত আফছার উদ্দিনের পুত্র তাজুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ছালেমা খাতুন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, খুশনাহাজরের সঙ্গে তার স্বামী তাজুল ও সতীন ছালেমার পারিবারিক কলহ ছিল। এরই জের ধরে গত ৮ জুলাই রাতে তাজুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ছালেমা মিলে খুশনাহারকে গলায় রশি পেছিয়ে হত্যা করেন। ওসি আরও বলেন, পরদিন ভোরে খুশনাহারের লাশটি তাজুল ইসলামের ঘরের দরজার সামনে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন মাধবপুর থানায় খবর দেন। পরে নিহতের ভাই মছরর আলী বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। এর পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।