সরকার বিরোধী আন্দোলন প্রতিহত করতে অচিরেই মাঠে নামবে আওয়ামী লীগ

6

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সরকার বিরোধী আন্দলন প্রতিহত করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অচিরেই মাঠে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটের সুযোগ নিয়ে সরকারকে সহযোগিতা না করে সরকার উৎখাতের চক্রান্ত চলছে বলে উল্লেখ করে তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকেই মনে করেন হয়তো আমরা রাজপথ ভুলে গেছি, ভুলি নাই। আমরাও আছি, অচিরেই রাজপথে দেখতে পাবেন। আওয়ামী লীগ যখন মাঠে নামবে তখন আন্দোলনের স্বপ্ন কর্পূরের মতো উড়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগষ্ট) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলী, সহযোগী সংগঠন এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথসভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সারা দুনিয়ায় এখন এক অস্থির সময় অতিক্রান্ত হচ্ছে। একটা খারাপ সময়ের মুখোমুখি, একটা চ্যালেঞ্জিং টাইম আমরা অতিক্রম করছি। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব আমাদের ওপর পড়তে শুরু করেছে। সারা দুনিয়ায় সংকট। কোথাও এ নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে শুনলাম না। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের বিষয় আলাদা। অন্য কোথাও এ নিয়ে আন্দোলন নেই। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যতিক্রম।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যত দোষ নন্দ ঘোষ! শেখ হাসিনার সরকার করোনায় ভারসাম্যমূলক অবস্থান নিয়ে দেশের অর্থনীতি সচল রাখায় সরা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। আজ সেই সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, সরকার উৎখাতের চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে। বৈশ্বিক সংকট উত্তরণে সহযোগিতা না করে তারা সরকার উৎখাতে মঞ্চ করছে, আরও কী করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমলে আমাদের দেশেও কমানো হবে। তারপরও বিএনপি ও তাদের দোসররা মাঠে নামছে, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, অনেকেই মনে করছেন, হয়তো আমরা রাজপথ ভুলে গেছি, ভুলি নাই। আমরাও আছি, অচিরেই রাজপথে দেখতে পাবেন। এই শোকের মাসে সাধারণত আমরা রাজপথের কর্মসূচি দেই না। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত, অপপ্রচার, মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আমাদের এর প্রতিবাদ করতে হবে, জনগণকে সচেতন করতে হবে। চক্রান্ত মোকাবিলা করা হবে।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধী দল হিসেবে যদি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে সরকার বাধা দেবে কেন? যদি সহিংসতার উপাদান যুক্ত, আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নামে তাহলে সরকার কি বসে থাকবে, আঙুল চুষবে? খেলা হবে, মাঠে খেলা হবে। মোকাবিলা হবে, রাজপথে মোকাবিলা হবে।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ১৪ দলের শরিক কোনো কোনো দলের আন্দোলন করছে, এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা তাদের বিষয়, এটা গণতান্ত্রিক অধিকার তাদের। তাদের সঙ্গে জোট হয়েছিল, নির্বাচনী জোট। সেখানে আদর্শের কোনো বিষয় নেই। এটা কৌশলগত জোট। তা না হলে জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট কেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ওয়াবয়দুল কাদের বলেন, পালানোর ইতিহাস আমাদের নেই। প্রয়োজনে দেশের মাটিতে জেলে যাবো। পালানোর অভ্যাস আপনদের (বিএনপি)। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জরুরি সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে টেমস নদীর পারে পালিয়ে গেছে।
আগামী ১৭ আগস্ট সারা দেশে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপি আমলে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে ওই দিন বিকেলে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তন চত্বরে সমাবেশ শেষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।