ওসমানী হাসপাতালে ঘটনার ২ মামলা ॥ আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার জামিন মঞ্জুর, ৩ আসামী রিমান্ডে

8

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের শ্লীলতাহানী ও মেডিকেল কলেজের ২ শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন করার পর জামিন পেয়েছেন মো. আবদুল্লাহ। আবদুল্লাহ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবদুল খালিকের ভাতিজা।
গতকাল সোমবার সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে, এর আগে গ্রেফতারকৃত ৩ জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এখন পর্যন্ত ওই গ্রেফতার হওয়া ৪ জনই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
আদালত সূত্র জানায়, সোমবার মো. আবদুল্লাহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পন করেন। এসময় তার আইনজীবী আবদুল্লাহর বয়স ১৮ বছরের কম দাবি করে জামিন প্রার্থনা করলে শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। মো. আবদুল্লাহর জামিন লাভের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি নওশাদ আহমদ চৌধুরী।
হামলা ও শ্লীলতাহানীর ২ মামলায় গ্রেফতারকৃত ৩ আসামির ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রাশেদ ফজল বলেন, গ্রেফতারকৃত দিব্য সরকার, সাঈদ হাসান রাব্বি ও এহসান আহমদের ৫দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। গত রবিবার শুনানি শেষে বিচারক ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তবে গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত আদালতের নির্দেশনা সংক্রান্ত কাগজপত্র না পাওয়ায় তাদেরকে রিমান্ডে আনা হয়নি বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই দুপুরে এক রোগীর ২ স্বজনের সাথে ইন্টার্ন চিকিৎসক ইমন আহমদের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওই ২ স্বজনকে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা হয়। এর জের ধরে পরদিন সোমবার রাত ৮টার দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসক ইমন আহমদ ও ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্র রুদ্র নাথের উপর হামলা চালায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে ধর্মঘটের ডাক দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তাদের সাথে যুক্ত হন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের শ্লীলতাহনির অভিযোগে ৮ জনকে আসামি করে ২ আগস্ট দুপুরে কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রথমে সাঈদ হাসান রাব্বি ও এহসান আহমদকে গ্রেফতার করে। এরপরও আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকেন। ৩ আগস্ট দিবাগত রাতে মামলার প্রধান আসামি দিব্য সরকারকে গ্রেফতার করলে পরদিন ৪ আগস্ট সকালে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে কর্মস্থল এবং ক্লাসে ফিরে যান।