সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ গোলাপগঞ্জে মামলা-হামলার শিকার মুক্তিযোদ্ধা উস্তার আলী পরিবার

29

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের গোলাপগঞ্জে মামলা-হামলা দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানী ও ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৩ আগষ্ট) পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা পরগনাবাজার এলাকাধীন দক্ষিণ কান্দিগাঁও-এর বীর মুক্তিযোদ্ধা উস্তার আলী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা উস্তার আলীর নাতি মো. শাকিল খান ফাহাদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উস্তার আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালে জানবাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এদেশকে স্বাধীন করেছেন। ছিনিয়ে এনেছেন স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। তাই বাংলাদেশ সরকার তাদেরকে বীর খেতাবে সম্মানিত করেছেন। তারা সরকারের কাছ থেকে সম্মাননা ভাতাও পেয়ে আসছেন। এই জানবাজ মুক্তিযোদ্ধদের একজন আমি উস্তার আলী,যার মুক্তিযোদ্ধা নম্বর-০১৯১০০০৭৫৯৩। যা’ লাল মুক্তিবার্তা, ভারতীয় তালিকা, সেনাবাহিনী গেজেট ও বেসামরিক গেজেট দ্বারা স্বীকৃত।
উস্তার আলী দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল কর্তৃক তিনি ও তার পরিবার নির্যাতন ও হয়রানীর স্বীকার হয়ে আসছেন। গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা পরগনাবাজার এলাকাধীন কান্দিগাঁও গ্রামের মৃত আছাব আলীর পুত্র নুরুল আমিন, মৃত উসমান আলীর পুত্র আব্দুর রব, মৃত মখলিছ আলীর পুত্র আব্দুল হান্নান, মৃত জিলা মিয়ার পুত্র বাসির আলী সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু চক্রের লোক। তারা তার স্বত্ত্ব¡-দখীয় ভূমি জবরদখল ও আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে তাকে ও তার পরিবারকে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও হামলার মাধ্যমে হয়রানী এবং আর্থিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত করে চলেছে।
মুক্তিযোদ্ধা উস্তার আলী নিজেকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলর গোলাপনগর মৌজার ৬০ শতক ভূমির মালিক স্বত্ববান ও দখলকার দাবি করে বলেন আমি তামাদি মুদ্দত থেকে এই ভূমি ভোগদখল, ভোগশাসন ও ভোগব্যবহার করে আসছি। আমার নিজগ্রামের ভূমিদস্যু নুরুল আমিন ও তার সহযোগী একটি সংঘবদ্ধ চক্র আমার স্বত্ত্বদখলীয় এই ভূমি জবরদখল ও আত্মসা’ করতে মেতে ওঠেছে। ভূমি জোরপূর্বক দখলে নিতে ব্যর্থ হয়ে তারা আমার বিরুদ্ধে হামলা ও মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে নুরুল আমিন চক্র আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক প্রায় অর্ধডজন মিথ্যা মামলা দিয়েছে। মামলাগুলো হচ্ছে, গোলাপগঞ্জ সিআর মামলা নং-০১/২০১৪, গোলাপগঞ্জ থানার মামলা নং ১১(১)১৫, ফৌজদারী মোশন মামলা নং-৯২/২০১৭, ফৌজদারী রিভিশন মামলা নং-৯৫/২০১৮, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার মামলা নং-১৫(১১)২০২০, গোলাপগঞ্জ নির্বাহী মামলা নং ৯৭/২০২০ ও সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ (গোলাপগঞ্জ) আদালতের স্বত্ত্ব মোকদ্দমা নং ৩৭/২০২০।
উস্তার আলী বলেন-তদন্তে ও বিচারে তাদের এসব মামলা ও মোকদ্দমা মিথ্য প্রমাণিত হয়। এ পর্যন্ত চারটি মামলার রায় তার পক্ষেই হয়েছে। কিন্তু মামলাগুলো পরিচালনা করতে গিয়ে শারীরিক মানসিক ও আর্থিকভাবে তিনি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তিনি আরো জানান, নুরুল আমিনও তার সহযোগীরা গত বছরের ৩০ নভেম্বের বীর মুক্তিযোদ্ধা উস্তার আলী ও তার স্বজনদের হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয় করে এবং এ ঘটনায় তিনি ১ ডিসেম্বর গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নং-১৫) করেছেন বলে জানান। উস্তার আলী তার পরিবারের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের বর্তমান সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।