বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মিছিল ও সমাবেশ

13

শনিবার বিকেল ৫টায় নগরীর সিটি পয়েন্টে মালিকানা নির্বিশেষে জাতীয় মজুরী ২০ হাজার টাকা, চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা ও সর্বজনীন রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবী জানিয়ে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট জেলা শাখার মিছিল ও সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক মোখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য প্রসেনজিৎ রুদ্র। বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী), সিলেট জেলার আহবায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য শফিকুল ইসলাম। আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য জিতু সেন, চা বাগানের সংগঠক বিরেন সিং, অজিত রায়, নির্মাণ শ্রমিক নেতা রাজন ঘোষ, শহিদ আহমেদ, আঙ্গুর মিয়া প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলছে। অথচ চা বাগান, গার্মেন্টস, নির্মাণসহ সংগঠিত অসংগঠিত সর্বস্তরের শ্রমিকদের জীবনধারণের প্রয়োজনে ন্যূনতম মজুরীর দাবি উপেক্ষিত। সর্বজনীন রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকৃতির পথে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এমনকি শ্রমিকেরা মরীয়া হয়ে আন্দোলনের পা বাড়ালে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মালিক শ্রেণীর পক্ষাবলম্বনে এগিয়ে আসেন। রাষ্ট্র ও সরকারের মালিকী শোষণের পাহারাদার হিসেবে ভূমিকা পালন এ ঘটনা উন্মোচিত হয়ে পড়েছে।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘পাটকল-চিনিকলসহ রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। শ্রমিকদের আজ কাজের নিশ্চয়তা নেই। কাজের স্থায়ীত্ব ও নিরাপত্তা নেই, আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, নেই স্থায়ী কোন কর্মঘণ্টা, বাধ্যতামূলক শ্রম,পরিচয়পত্রহীন ঝুঁকিপূর্ণ ও নিরাপত্তাহীন কর্মস্থল, ছাঁটাই-নির্যাতন ইত্যাদিতে ভয়াবহ শ্রম পরিবেশ বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতির বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রদানসহ বাঁচার দাবিতে ব্যাপক ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
নেতৃবৃন্দ ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা-ভ্যান চলাচলে সরকার দলীয় মাস্তানদের চাঁদাবাজি ও পুলিশী হয়রানি বন্ধ করে অবিলম্বে সরকার ঘোষিত লাইসেন্স ও রুট পারমিট প্রদানের জোর দাবী জানান। নেতৃবৃন্দ চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা ও ভূমি অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জোর দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে মিছিল সিটি পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। বিজ্ঞপ্তি