শ্রীমঙ্গলে বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে চুরি বৃদ্ধি

13

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও পৌর শহরে দিনেরাতে হঠাৎ করে চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাসা-বাড়ী, দোকান, মোবাইল ও মোটরসাইকেল চুরি বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিনে তথ্য নিয়ে জানা যায়, গত বুধবার রাতে শ্যামলী জামে মসজিদ মার্কেটের বিসমিল্লাহ ষ্টোর থেকে তালা ভেঙ্গে ১ লাখ টাকা নগদ ও দোকানে থাকা মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগে পূর্বাশা নির্মল স্টোর ও রাজু স্টোর দুই দোকানেই চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ২ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে সবুজবাগ আ/এ লাকি ষ্টোরের সামনা থেকে ১১০ সিসি কালো রংয়ের ডিসকভার মোটরসাইকেল চুরি হয় যার রেজিষ্ট্রেশন নং- মৌলভীবাজার- হ ১৩-০২৯৯। সাইকেলটির মালিক টিকরিয়া গ্রামের মো.আলাল আহমেদ। পরে তিনি শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন (নং ১১২)। ১২ জুলাই মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে শ্রীমঙ্গল শহরতলীর ফুলবাড়ী এলাকার চিড়িয়াখানা রোড থেকে কালো রংয়ের ১০০ সিসি হিরো স্পেলেন্ডার মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে (রেজিষ্ট্রেশন নং-মৌলভীবাজার হ-১২৭৯৬৭)।
এর আগে (৮ জুন) বুধবার দুপুরে শহরের মনাই উল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী একটি বাসায় এই চুরির ঘটনা ঘটে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত থাকায় এসময় বাসায় কেউ ছিলেন না। ঘরের দরজার তালা ভেঙে প্রবেশ করে চোর চক্রটি। পরে দুটি আলমারি ভেঙে কিছু নগদ টাকা নিয়ে চলে যায়। একই দিনে শহরের আরও কয়েকটি স্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে লোকমুখে শোনা যায়।
১৪ জুন শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ভাড়াউড়া রোডে রুপসপুর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. নুরুল ইসলামের বাসায় চুরি সংঘটিত হয়। তিনি বলেন, আমার বাসার দ্বিতীয় তলার বাড়াটিয়া সকাল বেলা তাদের রুমের দরজা খুলে ছাদে যায় কাপড় শুকাতে। ছাদ থেকে এসে দেখে রুমের ভিতরে সবকিছু এলোমেলো। জানা গেছে, সোনা গহনা লুট করে নিয়ে যায় চোরচক্রটি।
কিছুদিন আগেও শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া সড়কের বিটিআরআই চা-বাগানের বেলতলী নামক এলাকার সড়কে ডাকাতির শিকার হয়েছেন যাত্রীরা। গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে ১৩-১৪ জনের একটি ডাকাতদল যাত্রীদের মারধর করে টাকাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেয় বলে জানা গেছে। পরে ১৬ জুন ডাকাতির প্রস্তুতির সময় দুই ডাকাত কে অস্ত্রসহ আটক করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। আটক কৃত দুই ডাকাতকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-সার্কেল) মো.শহিদুল হক মুন্সীর কাছে শহরের চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে অভিযোগ আসছে, সেগুলো খুব গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে তদন্ত করছি। আমরা এ ব্যাপার সতর্ক রয়েছি। আমি নিজেও গভীর রাতে বের হই এবং পাড়া মহল্লায় পাহারা দেওয়ার ও ব্যবস্তা করেছি।