সিলেটে কোরবানীর চামড়ার দাম ও বিক্রিতে অস্থিরতা

8
চামড়া সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ছবি পারাইচক থেকে তোলা। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে এবারো কোরবানীর চামড়ার দাম ও বিক্রিতে অস্থিরতা দেখা গেছে। গরুর চামড়া নামমাত্র মূল্যে কিনলেও ছাগলের চামড়া ক্রয়ে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন ক্রেতারা।
ঈদুল আযহার দিন রবিবার সকালে বড় আকারের গরুর চামড়া ৩৫০/৪০০ ও ছোট গরুর চামড়া ১৫০/২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে বিকেলের পর থেকে বড়-ছোট সব ধরনের গরুর চামড়া ২০০ টাকার কম দামে বিক্রি হয়েছে। এদিকে ছাগলের চামড়ার চাহিদা ছিল না ব্যবসায়ীদের কাছে। অনেকে নামমাত্র মূল্যে ছাগলের চামড়া কিনেছেন। আবার কেউ কেউ গরুর চামড়ার সঙ্গে বিনা মূল্যে ছাগলের চামড়া দিয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হলেও সিলেটে নির্ধারিত মূল্যে চামড়া বেচাকেনা হয়নি। বিক্রি হয়েছে পিস হিসেবে।
একটি গরু ও দুটি খাসি কোরবানি দিয়েছেন নগরীর ভাতালিয়া এলাকার এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, সকালে কোরবানি দেওয়ার পর গরুর চামড়াটা ৪০০ টাকায় বিক্রি করেছি। খাসির চামড়া কিনতে চাননি ব্যবসায়ীরা। পরে দুটি খাসির চামড়ার জন্য ৪০ টাকা দেন তাঁরা।
নগরীর কুয়ারপার এলাকার এ টি এম ইসরাত বলেন, সকালে কোরবানি দেওয়ার পর কেউ চামড়া কিনতে আসেননি। পরে দুপুরের দিকে এতিমখানার শিক্ষার্থীদের গরুর চামড়া বিনা মূল্যে দিয়ে দিয়েছেন।
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ঢাকায় লবণযুক্ত চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে ৫২ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা; সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়ার প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং ছাগলের চামড়ার দর প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে সিলেটে এ দাম অনুসরণ করা হয়নি।
সিলেটের কয়েকজন আড়ৎদার বলেন, প্রতিবছর মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের কারণে চামড়া বেচাকেনায় অনেকটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। এ জন্য এবার তাঁরা নিজেদের লোক দিয়ে চামড়া সংগ্রহ করেননি। এ ছাড়া ট্যানারির মালিকদের কাছে তাঁদের কোটি কোটি টাকা আটকে থাকার কারণে অনেকে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। এতে ব্যবসায় প্রতিযোগিতা কম। এ ছাড়া ট্যানারির মালিকেরা বেশি দামে চামড়া কিনতে চান না, দাম কমার এটি অন্যতম কারণ।
প্রতিবছর মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বেশি থাকে উল্লেখ করে শাহজালাল (রহ.) বহুমুখী চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. শামিম আহমদ বলেন, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা মানুষের বাসাবাড়িতে গিয়ে আগেভাগেই চামড়া কিনে নেন। তাঁদের কারণে এবার আড়ৎদারেরা লবণ কম সংগ্রহ করেছিলেন। ফলে তাঁরা বেশি চামড়া সংগ্রহ করতে পারেননি।