শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী কাজিরবাজার পশুর হাট

9
শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কাজিরবাজার পশুর হাট। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর ঐতিহ্যবাহী কাজিরবাজার পশুর হাট শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে। বিক্রির উদ্দেশ্যে সিলেটের স্থানীদের পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পশু নিয়ে আসছেন কাজিরবাজার হাটে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদভাবে বেপারী ও ক্রেতারা পশু ক্রয়-বিক্রয় করছেন। কাজিরবাজার পশুর হাটে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ হাটে রয়েছে নকল টাকা শনাক্তকরণের বুথ। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
হাট ঘুরে দেখা গেছে, পশুর দাম মানুষের সাধ্যের ভেতরেই রয়েছে। তবে বন্যার কারণে দামের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রভাব পড়েছে বাজারে।স্থানীয় জাতের অনেক গরু-ছাগল হাটে উঠেছে। গতকাল হাটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
ক্রেতারা মনে করেছিলেন, বন্যার কারণে গরু, ছাগলের দাম হয়তো কম পড়বে। কিন্তু তাঁদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
কাজিরবাজার থেকে ৯০ হাজার টাকায় একটি সাদা গরু নিয়ে ফিরছিলেন সুবিদবাজারের প্রবাসী পরিবারের সদস্য গাফ্ফার। তিনি জানান, গরুর দাম খুব বেশি।
সিলেট ডেইরি ফার্মস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সিটি কপোরেশনের কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান জানান, এবারের বাজার পরিস্থিতি অন্যরকম মনে হচ্ছে। পশু নিয়ে সবার মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে। বাজারে চাহিদা অনুপাতে পশুর সংখ্যা অনেক

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কাজিরবাজার পশুর হাট। ছবি- মামুন হোসেন

কম। সিলেটে এবার দেড় লাখের মতো পশুর চাহিদা আছে। তিনি জানান, শেষ দিকে বাজার জমে উঠবে।
কাজিরবাজার পশুর হাটের ম্যানেজার শাহাদৎ হোসেন লোলন জানান, সিলেটে প্রায় ৫ লাখ গরুর চাহিদা থাকে। এবারো পর্যাপ্ত গরু বাজারে রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী বাজার হওয়ায় ক্রেতাদের জন্য দাম দর করতে একটু অসুবিধে হচ্ছে। একটা সময় বাজারের ভারসাম্য থাকতো। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ খুব বেশি লোকসান বা লাভ গুণতে হতো না। এখন দামের সেই ভারসাম্য নেই বাজারে। তিনি বলেন, কাজিরবাজার পশুর হাটে বাজারের নিজস্ব নিরাপত্তা লোক থাকার পাশাপাশি প্রশাসনের নিরাপত্তাবাহী রয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজিরবাজার হাটে পশু বিকিকিনি হচ্ছে।