নগরীর ৬ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা

10

স্টাফ রিপোর্টার :
ঈদুল আযহাকে সমানে রেখে বৃদ্ধি পেয়েছে মসলার ক্রয়-বিক্রয়। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করতে চেষ্টা করছে কিছু মসলা ব্যবসায়ী। গতকাল রবিবার কালিঘাট এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালিত এক অভিযানে ফুটে ওঠে এমন চিত্র।
এদিন দুপুর ১২ টা থেকে পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায় ১০৭০ টাকা কেজি ধরে কিংবা তারও বেশি দামে লবঙ্গ কিনে তা বিক্রি হচ্ছে ১০৫০ টাকা দরে। এসময় তদেন্ত দেখা যায়, ৫০০-৬০০ টাকা কেজি ধরে কেনা লবাঙ্গ ১০৭০ টাকা দরে কেনা লবঙ্গের সাথে মিশ্রিত করে তা ১০৫০ টাকা ধরে বিক্রি করে ক্রেতাদের প্রতারিত করা হচ্ছে।
এছাড়াও দেখা যায়, বিপুল পরিমাণ মসলা বিক্রি হলেও কোন দোকানেই মসলার মূল্য তালিকা প্রদর্শন করছে না। এতে করে সহজেই ভোক্তাদের কাছ থেকে বেশি দাম হাকিয়ে নিচ্ছে বিক্রতারা। অভিযানে ভোক্তাদের প্রতারিত করা, মূল্য তালিকা না রাখা এবং অতিরিক্ত দামে মসলা বিক্রির অপরাধে ইনসাফ স্টোরকে ২ হাজার টাকা, রানা স্টোরকে ২ হাজার টাকা, আর এন ট্রেডার্সকে ২ হাজার টাকা এবং সুমন ব্রাদার্সকে আরো ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় পশুর চামড়ার ব্যবহৃত শিল্প লবনের বাজারও তদারকি করা হয়। ৫৮ কেজি শিল্প লবনের বস্তা ৮৬০ টাকা ধরে বিক্রি করা এবং শিল্প লবণের মূল্য তালিকা বাধ্যতামূলকভাবে প্রদর্শনের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এছাড়া সরকার নির্ধারিত সয়াবিন তেলের নতুন মূল্য বাস্তবায়নের জন্যও ব্যবসায়ীদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করা হয়। একই দিনে দক্ষিণ সুরমা আলমপুর এলাকায় পাসপোর্ট অফিসের সামনে এক পৃষ্টা কাগজ প্রিন্ট প্রদানে ১০০ টাকা দাবি করায় আমির এন্টারপ্রাইজকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাসপোর্ট অফিসে সাধারণ মানুষের জরুরি প্রয়োজনের সুযোগ নিয়ে অনেক দিন ধরেই এ প্রতিষ্ঠানটি অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। এসময় পাশ্ববর্তী জিসান হোটেলকে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য আরো ১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে সার্বিক সহায়তা করেন র‌্যাব-৯ এর একটি টিম ও সিলেট চেম্বার অব কমার্স। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।