যুবরাজের পর ব্রডকে পিটিয়ে বুমরাহর বিশ্বরেকর্ড

6
Indian paceman Jasprit Bumrah gets ready to bowl on day two of the third cricket Test match at Sydney Cricket Ground (SCG) between Australia and India on January 8, 2021. (Photo by Saeed KHAN / AFP) (Photo by SAEED KHAN/AFP via Getty Images)

স্পোর্টস ডেস্ক :
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডকে পিটিয়ে ৬ বলে ৬ ছক্কা হাঁকিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন ভারতের যুবরাজ সিং। প্রায় ১৫ বছর পর ইংলিশ পেসারকে পিটিয়ে আরও এক রেকর্ড গড়লেন ভারতেরই আরেক ক্রিকেটার।
তবে এবার ফরম্যাট ভিন্ন।
এবারের রেকর্ডধারী কোনো ব্যাটার নন, বরং তিনি নিজেও একজন পেসার। হ্যাঁ, এমনই অবাক করা ঘটনার জন্ম দিলেন ভারতীয় পেসার জসপ্রীত বুমরাহ। লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্রডের এক ওভারে ৩৫ রান নিয়েছেন তিনি। যা টেস্ট ক্রিকেটে এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড।
এজবাস্টনে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার পঞ্চম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শনিবার বুমরাহ এই কীর্তি গড়েছেন। ভারতের ভারপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে এই ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছে তার। এই টেস্টে দলের প্রথম ইনিংসে ১০ নম্বরে নামে তিনি। আর নেমেই ব্যাট হাতে রীতিমত ঝড় তুলেছেন।
ভারতের প্রথম ইনিংস গুঁটিয়ে যাওয়ার আগের ওভারেই ব্রডকে পিটিয়ে ছাতু বানিয়েছেন বুমরাহ। ওই ওভারে ৪টি বাউন্ডারি ও ২টি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এছাড়া ওভারের দ্বিতীয় বলে ওয়াইড দেন ব্রড, বাউন্সি বল সীমানা পেরোলে ১টা বাউন্ডারি বোনাস পায় ভারত। পরের বলে আবার নো বল, সেই বলে আসে ছক্কা। সবমিলিয়ে ওভারে ৩৫ রান।
টেস্ট ইতিহাসে এর আগে এক ওভারে সর্বোচ্চ ২৮ রান করে তুলেছিলেন ব্রায়ান লারা, জর্জ বেইলি ও কেশভ মহারাজ। ২০০৩ সালে জোহানেসবার্গ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলার রবিন পিটারসেনের এক ওভারে ২৮ রান নেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি লারা। এরপর ২০১৩ সালে পার্থ টেস্টে ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসেনের বলে একই কীর্তিতে নাম লেখান সাবেক অজি ব্যাটার বেইলি। আর ২০২০ সালে পোর্ট এলিজাবেথে ইংল্যান্ডের পার্ট-টাইম স্পিনার জো রুটকে একই লজ্জায় ডোবান দক্ষিণ আফ্রিকার মহারাজ।
এদিকে রেকর্ড গড়ার পর ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন বুমরাহ। তার দল অলআউট হয় ৪১৬ রান তোলার পর। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ১৬ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। এখনও ৪০০ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা। প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির কারণে ৫ টেস্টের সিরিজের শেষ ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছিল। সেই ম্যাচটিই এতদিন পর ফের মাঠে গড়িয়েছে।