সাধুবাদ পাবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা

4

বুধবার স্বীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের খোলামেলা জবাব দেন। একইসঙ্গে তাঁর প্রাসঙ্গিক বক্তব্যও ছিল উপভোগ্য। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য থেকে প্রধানত তিনটি বিষয় উঠে আসে। প্রথমত, পদ্মা সেতুর আসন্ন উদ্বোধন এবং প্রাসঙ্গিক বিবিধ দিক; দ্বিতীয়ত, দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলমান বন্যায় মানুষের দুর্গতি ও ত্রাণ তৎপরতা এবং তৃতীয়ত, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর আদর্শচ্যুতি, দুর্বলতা ও নেতৃত্বের সঙ্কট। এর পাশাপাশি খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রচেষ্টার কথাও উঠে আসে সরকারপ্রধানের বক্তব্যে। দেশের বৃহত্তম দল আওয়ামী লীগের অনুপ্রেরণার উৎস যে জনগণ, সেটি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তাই নির্বাচন করেই তাঁর দল ক্ষমতায় আসতে চায়, একথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। জগদ্দল পাথরের মতো জাতির ওপর চেপে বসা পরনির্ভরতার অচলায়তন ভাঙ্গার সাহসিকতার কথাও উঠে আসে প্রসঙ্গক্রমে। পদ্মা সেতুর মান বিষয়ে জাতিকে অবহিত করেন তিনি। আন্তর্জাতিক মানদন্ডে সেতু নির্মাণে বিশে^র বিস্ময় পদ্মা সেতুর মান নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারবে না বলে যথাযথ অভিমত প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
সুদৃঢ়কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঝড়-তুফান, বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস আসবেই। সেটিকে মোকাবেলা করেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অকল্পনীয় বন্যা হয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকার জনসাধারণকে আশ্বাস দিতে চাই, সরকার তাদের পাশে রয়েছে। মানুষের ভোগান্তি লাঘবে সরকার সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের যাতে কোন সমস্যা না হয় সেই ব্যবস্থাও সরকার করবে।’ প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রনায়কোচিত এ আশ^াসবাণী নিঃসন্দেহে পানিবন্দী মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার করবে। এ ইতিবাচক বার্তা তাদের কাছে পৌঁছলে মানসিকভাবে যে তারা উজ্জীবিত হবেন এবং বন্যা মোকাবেলায় প্রেরণা পাবেন এটি সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়।
পদ্মা সেতু ঘিরে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক গড়ে ওঠার সুসংবাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে। বলাবাহুল্য, সেতু উদ্বোধনের পর ওই অঞ্চলে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে। দেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। পদ্মার দুই পারে পর্যটন শিল্পেরও ব্যাপক প্রসার ঘটবে।
স্বভাবতই সংবাদ সম্মেলনে প্রসঙ্গক্রমে বিএনপির সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তার উত্থাপিত প্রশ্নগুলোর সদুত্তর পাওয়া ভাবনারই বিষয়। তিনি বলেন, তারা কাদের নিয়ে নির্বাচন করবে? তাদের নেতা কে? এই দলের নেত্রী (খালেদা জিয়া) দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। সরকারপ্রধানের নির্বাহী ক্ষমতায় সাজা মওকুফের সুযোগ দিয়ে তাকে বাসায় থাকার সুযোগ আমিই করে দিয়েছি। এই দলের আরেকজন (তারেক রহমান) তো দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে রিফিউজি হয়ে রয়েছেন। লন্ডনের নাগরিকত্ব নিতে তিনি যে কোটি কোটি ডলার খরচ করছেন, তার উৎস কি?’