রায়হান হত্যা মামলার আসামি এসআই হাসানের জামিন মঞ্জুর

7

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাড়িতে পুলিশী নির্যাতনে রায়হান আহমেদের (৩৫) মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান উদ্দিনের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে এ জামিন প্রদান করেন।
আদালতে এসআই হাসানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আব্দুল আলিম ভুইয়া জুয়েল। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর দিবাগত রাতে সিলেট মেট্রোপলিটন (এসএমপি) পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। ১১ অক্টোবর সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রীর করা মামলার পর পুলিশের একটি কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। পরে ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রধান অভিযুক্ত আকবর পালিয়ে গেলে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত বছরের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। অভিযোগপত্রে ঘটনার সময় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), ফাঁড়ির টুআইসি পদে থাকা সাময়িক বরখাস্ত এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)। অভিযোগপত্রভুক্ত ছয় আসামির মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাবন্দি। অন্যদিকে, আসামি আবদুল্লাহ আল নোমান পলাতক। এই অবস্থায় সিলেটের চাঞ্চল্যকর রায়হান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি- ঘটনার সময় ফাঁড়ির টুআইসি পদে থাকা সাময়িক বরখাস্ত এসআই মো. হাসান উদ্দিন জামিন পেলেন।