সীতাকুন্ডে শ্রমিক হত্যার জন্য দায়ীদের শাস্তি দিতে হবে – সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট

2
সীতাকুন্ডে বি এম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন জেলা আহবায়ক আবু জাফর।

সীতাকুন্ডে বি.এম. কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক মৃত্যু এবং চার শতাধিক আহত হওয়ার জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তার, বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসুচীর অংশ হিসাবে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে ৬জুন সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় আম্বরখানাস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক আবু জাফর এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক প্রনব জ্যোতি পাল এর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা শহীদ মিয়া, শফিকুল ইসলাম কাজল, চালক সংগ্রাম পরিষদ এর মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মনজুর আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ আলী, চা শ্রমিক ফেডারেশনের সন্দিপ রঞ্জন নায়েক, নির্মাণ শ্রমিক ফ্রন্ট এর সাধারণ সম্পাদক মামুন বেপারি, জাকির হোসেন,আমিন আহমেদ, ইমরান আহমদ প্রমুখ।
বি.এম. কনটেইনার ডিপোর মালিক কর্তৃপক্ষ একদিকে ক্যমিকেল মজুদ করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা আয়োজন করেননি অপরদিকে তথ্য গোপন করেছেন ফলে কনটেইনার বিস্ফোরণে এই মৃত্যুর জন্য অবশ্যই মালিক কর্তৃপক্ষ দায়ী। আর ঠিকাদারি প্রথা বা আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে শ্রমিক নিযুক্ত করায় এই শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা প্রশ্নে দরকষাকষির সুযোগ ছিলনা। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকার এখন পর্যন্ত পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ সংশ্লিষ্ট আই.এল.ও কনভেনশন সমুহ অনুস্বাক্ষর করেনি যা নিরাপদ কর্মক্ষেত্র বা কর্মপরিবেশ নিরাপদ করার জন্য সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন করা যায়। নেতৃবৃন্দ, বি.এম. কনটেইনার ডিপোয় বিস্ফোরনে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে আই.এল.ও কনভেনশন ১২১ অনুসারে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ এবং আহত প্রত্যেককে সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ, কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং আই.এল.ও কনভেনশন ১২১ ও ১৫৫ এর আলোকে ক্ষতিপুরণের বিধান রেখে শ্রম আইন সংশোধন করার দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ, মিরপুরে আন্দোলনরত গার্মেন্টস শ্রমিকদের উপর নিপিড়ন বন্ধ করে তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া, চা শ্রমিকদের দৈনিক নগদ মজুরি ৫শত ঘোষণা করা এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাটারি চালিত যানবাহন চলাচলে লাইসেন্স প্রদানের আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি