স্বামীর হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে ধর্ষণ, ধর্ষকের যাবজ্জীবন

5

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সিদ কেটে ঘরে প্রবেশ করে স্বামীর হাত-পা বেধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মনু মিয়া (৩৬) নামে এক ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করেছেন হবিগঞ্জের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারক সুদীপ্ত রায়। গতকাল সোমবার দুপুরে আসামীর অনুপস্থিতিতে তিনি এই রায় প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার বানিয়াচং উপজেলার উত্তরসাঙ্গর গ্রামের এক গৃহবধুকে ওই গ্রামের মৃত ইয়াছিন উল্লার পুত্র মনু মিয়া ভিকিটিমকে প্রায় সময়ই উত্যক্ত করত। ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারী দুপুর বেলা ভিকটিমের দিনমজুর স্বামী বাড়ীতে না থাকায় মনু মিয়া ভিকটিমের ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে ভিকটিমের স্বামী ও সন্তানকে উঠিয়ে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে ভিকটিমের স্বামী বাড়ীতে আসলে ওই গৃহবধু সবকিছু জানালে সে সাক্ষী ও গ্রাম পুলিশকে নিয়ে মনু মিয়াকে আটক করে শিকল দিয়ে বেধে রাখে। খবর পেয়ে ওই গ্রামের মৃত ইয়াছিন উল্লার পুত্র উস্তার মিয়া মনু মিয়াকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে ১৭ জানুয়ারী গভীর রাতে মনু মিয়া ভিকটিমের ঘরে সিদ কেটে প্রবেশ করে ভিকটিমের স্বামীকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে হাত পা বেধে রেখে পুনরায় ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারী বানিয়াচং থানায় মনু মিয়া, উস্তার মিয়া, আব্দুল জলিল, ইদ্রিছ মিয়া ও মুতি মিয়াকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
বানিয়াচং থানার উপ-পরিদর্শক মুজিবুর রহমান ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল মনু মিয়া ও উস্তার মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল সোমবার পলাতক আসামী মনু মিয়াকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। অন্যান্য আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদেরকে বেখসুর খালাস প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল সিপি এডভোকেট মাসুম মোল্লা জানান, এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ আনন্দিত। এর মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং অপরাধীরা ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করতে সাহস পাবে না।