শিবগঞ্জে ব্যবসায়ীকে অপহরণের দায়ে গ্রেফতারকৃত আসামী কারাগারে

2

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর শিবগঞ্জ থেকে অপহরণ মামলার এহজারনামীয় এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃত আফজল হোসেন (৩০) শিবগঞ্জ লাকড়ীপাড়ার রংধনু-৩১ নং বাসার ময়না মিয়ার পুত্র। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৩টার দিকে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ আফজলকে গ্রেফতার করে।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরাণ (রহ.) থানার এসআই চন্দ্রশেখর বড়–য়া। তিনি বলেন, আসামী আফজল হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, অপহরণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। মামলার অপর আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ ও মামলার জানায়, গত ২৯ জুন সকাল পৌনে ১১টায় নগরীর শিবগঞ্জ ফেয়ার টাওয়ারের সামনে থেকে ব্যবসায়ী দেলওয়ার হোসেন অপহৃত হন। এ সময় অপহরণকারীরা তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি নোহা গাড়ী তুলে নিয়ে যায় জগন্নাথপুরে। সেখানে দিনভর ওই ব্যবসায়ীর উপর নির্যাতন চালিয়ে অপহরণকারীরা ৬টি অলিখিত জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। পরে রাত ১০টায় জগন্নাথপুর থেকে সিলেট নগরীর শিবগঞ্জে ব্যবসায়ী দেলওয়ারকে নিয়ে আসে অপহরণকারীরা। পথিমধ্যে দিলোয়ারের মোবাইল থেকে কল করে দোকানের ম্যানেজারকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের চেক ও সীল শিবগঞ্জস্থ মিতালী ফার্মেসীর সামনে নিয়ে আসার জন্য বলে। এরপর রাত ২টার দিকে ম্যানেজার আসলে চেক নিয়ে অপহরণকারী আফজলের বাসায় গিয়ে ১৯টি চেকের মাধ্যমে ৪৫ লক্ষ টাকা লিখে স্বাক্ষর করতে বলে। এ সময় ব্যবসায়ী দেলোয়ার প্রাণের ভয়ে চেকে স্বাক্ষর দেন। এরপর অপহরণকারীরা এ ঘটনাটি কাউকে না জানাতে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে ব্যবসায়ী দেলওয়ার হোসেন ব্যাংকের সাথে যোগযোগ করে চেকের বিপরীতে টাকা উত্তোলন না করতে পারে সেই ব্যবস্থা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার অপহরণকারীরা ব্যবসায়ী দেলওয়ারকে ফোন করে হুমকি ধমকি দিলে তিনি বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেন। এরপর ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের আমাসী করে শাহপরাণ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে ওই ব্যবসায়ী। আফজল ছাড়াও এ মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের মৃত শ্যামকান্ত গোপের পুত্র শ্যামল কান্ত গোপ, নগরীর সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা আলী, রুবেল ও রাসেল।