নগরীতে কেজি প্রতি ব্রয়লার মোরগের দাম এখন ২শ’ টাকা

6

স্টাফ রিপোর্টার :
গেলো ঈদুল ফিতরের আগে হঠাৎ করে বেড়েছে মোরগের দাম। সে দামের ঊর্ধ্বগতি এখনও অব্যাহত। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরণের মোরগের দাম প্রতি কেজি বা পিসে বেড়েছে ৫০-৬০ টাকা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
এদিকে, গরুর গোশতের দামে আগে থেকেই ছিলো গরিবের অস্বস্তি। তা এখনও কমেনি। তবে এ মাসের মধ্যেই বৈঠক করে গরুর মাংসের দাম কমাতে পারে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে নগরীর খুচরা সব ধরণের মোরগের দাম প্রতি কেজি বা পিসে বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। গতকাল শনিবার নগরীর বেশ কয়েকটি মোরগের দোকান ঘুরে দেখা যায়- খুচরো বাজারে সাদা ব্রয়লার মোরগের কেজি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিলো ১৪০-১৫০ টাকা। লাল মোরগের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫৩০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে পিস ছিলো ৪৮০ টাকা। কক এবং সোনালি মোরগের ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে যা ছিলো ১৩০-১৪০ টাকা। ৮০০ গ্রাম ওজনের কক মোরগের পিস বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিলো ১৬০ টাকা। আর কোয়েল পাখি আকার অনুপাতে প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিলো ২৫-৩০ টাকা।
এদিকে, মাহে রমজানের আগে আন্দোলন করে নগরীর মাংস ব্যবসায়ীরা গরু ও ছাগলের মাংসের দাম বাড়িয়ে নেন। রমজানে সিসিক নির্ধারিত প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয় ৬৫০ ও ছাগলের মাংস ৮৫০ টাকা। তবে এ দাম নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে ছিলো। তাই জনসাধারণের কথা বিবেচনায় আবারও নগরীতে গরু ও ছাগলের মাংসের দাম কমাতে পারে সিসিক।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি কপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (সিসিক) ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, মাহে রমজানের কথা বিবেচনায় মাংস ব্যবসায়ীদের দাবি রাখতে গিয়ে দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছিলো। তবে জনসাধারণের কথা চিন্তা করে বাড়ানো দাম কমানো হতে পারে। মেয়র মহোদয় এখন দেশের বাইরে। তিনি ফিরে আসলেই এ মাসের মধ্যে মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।