এসএসসি পরীক্ষা শুরু ১৯ জুন, ১৪ দফা নির্দেশনা

6

কাজিরবাজার ডেস্ক :
২০২২ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে আগামী ১৯ জুন বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের এসএসসি পরীক্ষা। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত। আর ১৩ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে নিতে হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টায়।
বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে সই করেছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রুটিন প্রকাশের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের ১৪ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো, পরীক্ষা শুরুর ৩০ (ত্রিশ) মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে, প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে, প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোন বিরতি থাকবে না। বহুনির্বাচনী (গঈছ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২০ মিনিট এবং সৃজনশীল পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট, পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিনদিন পূর্বে সংগ্রহ করবে, সব শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবি এর নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে পাওয়া নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে, পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোন অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না, পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/ রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে, প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/ বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। কোন অবস্থায় ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না, কোন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তৃত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে, পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় নন-প্রোগ্রামেবল সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে, কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না, সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে, ব্যবহারিক পরীক্ষা স্ব স্ব কেন্দ্রের ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে, পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হলেও করোনা মহামারীর কারণে এ বছর তা পিছিয়ে দেয়া হয়। এর আগে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ চলে। এবছরও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, করোনা মহামারীর কারণে এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেয়া হচ্ছে। কারণ এ বছরও আমাদের শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ সময়ই ক্লাস করতে পারেনি।