সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ যুবলীগ-যুবদল নেতার বিরুদ্ধে প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ

23

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট মহানগর যুবলীগের ১২নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে প্রবাসী ও স্থানীয়দেরকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন নগরীর শেখঘাটের শুভেচ্ছা আবাসিক এলাকার বাসার বাসিন্দা মো. আমির আলীর ছেলে মো. আজম আলী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমার খালাত ভাই আমেরিকা প্রবাসী ফররুখ আহমদ (মনির মিয়া) ও আমাদের পরিবারের কিছু সদস্যকে নানাভাবে হয়রানি করছেন নগরীর শেখঘাট শুভেচ্ছা-২৫০ এর বাসিন্দা মৃত মুহিবুর রহমানের পুত্র মহানগর যুবলীগের ১২ নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি শামীম আহমদ ও তার ভাই শাহিনুর রহমান শাহিন এবং ৯১ ভাতালিয়া মাজার এলাকার আলতাফ হোসেন এর পুত্র যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন রিপন। এই তিনজনের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে প্রবাসী ফররুখ আহমদ (মনির মিয়া)’র পক্ষে চাঁদাবাজী, জালিয়াতি এবং প্রতারণা মামলা দায়ের করে আমি চরম বিপাকে পড়েছি।’
তিনি বলেন, সিলেট সদর মিউনিসিপ্যালিটি এলাকার ৭ একর ভূমির উপর নির্মিত ওই দেকান কোঠাটি আমরা গত ২০০৭ সালের জুলাইয়ে নগরীর সাগরদীঘির পারের হাজী আব্দুর রহিমের পুত্র আব্দুল সালামের নিকট ভাড়া প্রদান করি। ফররুখ আহমদ আমেরিকায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করায় বর্ণিত ভূমির উপর নির্মিত দোকানের ভাড়ার টাকা উত্তোলন এবং দেখাশুনা করার দায়িত্ব পালন করে আসছি আমি। আমেরিকা প্রবাসী ফররুখ আহমদ’র মালিকাধীন দোকান কোঠা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে যুবলীগ নেতা শামীম আহমদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি জাল ভাড়াটিয়া চুক্তিনামা তৈরি করেন। এছাড়া তিনি দোকান কোঠা আত্মসাতের জন্য আমমোক্তারনামা তৈরি করেন এবং বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা জুলকার নাইম আসিফ এর কাছে একটি চুক্তিপত্র প্রদর্শন করেন। একইদিন জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে যুবলীগ নেতা শামীম আহমদ, শাহিনুর রহমান ও যুবদল নেতা সাক্ষী নাজমুল হোসেন রিপন দোকান কোঠা আত্মসাৎ এর জন্য জাল চুক্তিনামাও করেন। শামীম আহমদকে গ্রহীতা সাজিয়ে আমার প্রবাসী ভাই ফররুখ আহমদ (মনির মিয়া)কে দাতা দেখিয়ে একখানা জাল চুক্তিনামা তৈরি করে বিদ্যুৎ অফিসে দাখিল করা হয়। পরে বিষয়টি আমার প্রবাসী ভাই ফররুখ আহমদ জানেেত পারলে তিনি কোনো চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেননি বলে জানান। পরবর্তীতে আমার ভাই ফররুখ আহমদ মিটার হিসাব নং-১৯১৫৮/সি স্থায়ী ভাবে বন্ধ করার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ অফিস বরাবরে আবেদন করেন।
চাঁদাদাবির অভিযোগ করে তিনি বলেন, গত ৭ মার্চ এসব বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা শামীম আহমদ, শাহিনুর রহমান ও যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন রিপনসহ তার বাহিনী দা, লাটি, রুইল ইত্যাদি অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। এ সময় তারা পনের লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এ সময় তিনি আমি প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে শামীম আহমদ, শাহিনুর রহমান শাহিন ও সাক্ষী নাজমুল হোসেন রিপন এর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।