হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি – পরিদর্শনে তদন্ত দল

4

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হঠাৎ করে ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের ৬ উপজেলার ১০ থেকে ১২টি হাওরের বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বাঁধের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে কি না, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকালে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত দল সুনামগঞ্জের ধর্মাপাশা উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল হাওর পরিদর্শন করে।
ধর্মাপাশা উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল হাওর পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা সালমা জাফরীন সাংবাদিকদের বলেন, হাওরে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন বাঁধ আমরা পরিদর্শন করছি। এরই মধ্যে চন্দ্র সোনার থাল হাওর পরিদর্শন করেছি। আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। বোঝার চেষ্টা করছি, কেন এ অসময়ে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলো। তদন্তের স্বার্থে সব কিছু বলা যাবে না। আমরা যা পাব, তাই তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসবে। তদন্তে কারো অনিয়মের সংশ্লিষ্টতা পেলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেব।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিনহা, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মাহববুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী এনায়াত উল্লাহ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোবাশশেরুল ইসলাম এবং সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়োয়ার উল হালিম।
এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জাকির হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এ তদন্ত কমিটির তদন্তও চলছে।