রমজানের প্রথম জুম্মায় মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল

4
পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুম্মায় হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে মোনাজাতরত মুসল্লিগণ। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুম্মার নামাজে নগরীর প্রতিটি মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। নামাজের আজান শুরু হতেই মুসল্লিদের জায়নামাজ হাতে নিয়ে মসজিদ পানে ছুটতে দেখা যায়। শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় নগরীর শাহজালাল দরগাহসহ বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
এর আগে, প্রতিটি মসজিদে রমজানের প্রথম জুম্মা উপলক্ষে বিশেষ বয়ান করা হয়। অনেক মসজিদে মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় রাস্তায় চলে আসে নামাজের কাতার। প্রতিটি মসজিদে নামাজের পর মুনাজাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা। এ সময় মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তারা।
গতকাল দুপুর ১টার দিকে দরগাহ মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, মুসল্লির উপস্থিতিতে মসজিদ প্রাঙ্গণ পুরোটাই ভরে গেছে। মসজিদ প্রাঙ্গণে জায়গা না হওয়ায় কয়েকশ মুসল্লি রাস্তায় জায়নামাজ পেতে জুমার নামাজে অংশ নেন। শিশু, বয়স্ক থেকে শুরু করে প্রায় সব বয়সীদের জুম্মার নামাজে শরীক হতে দেখা গেছে। শুধু মহানগরী নয় সিলেটের বাইরে অন্যান্য উপজেলায় কেন্দ্রীয় মসজিদগুলোতেও মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। জুম্মার নামাজে রোজার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে খুৎবা পাঠ করেন খতিবরা। এছাড়া নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা এবং মসজিদে হয় এদিন।
এদিকে মসজিদে ভিড় বাড়ার সঙ্গে প্রত্যেক মসজিদে ভিখারিদের ভিড় বাড়ে ব্যাপক হারে। প্রত্যেক মসজিদে ও আশপাশের এলাকায় ভিখারিদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। তারা অপেক্ষায় থাকে কখন মুসল্লিরা নামাজ শেষ করে বের হবেন। নামাজ শেষে ভিখারিদের হুড়োহুড়ি লেগে যায়। কে কার আগে ভিক্ষা আদায় করতে পারবে এ আশায়। তবে গরিব, অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে এবং রমজানে বিশেষ সওয়াবের আশায় অনেক মুসল্লিকে ভিক্ষা প্রদান করতেও দেখা গেছে।
দরগাহ মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি আজমল হোসেন বলেন, জুমার নামাজ শেষে মুনাজাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। যেন তিনি আমাদের সব পাপ থেকে দূরে রাখেন। এছাড়া ভয়াবহ করোনাভাইরাস দিয়ে যেন আমাদের কঠিন সময় না দেন।