নগরীতে পরিবহন শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, পরে প্রত্যাহার

4

স্টাফ রিপোর্টার :
ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে সিলেটে সড়কে গাড়ি রেখে অবরোধ করেছেন পরিবহন শ্রমিকেরা। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীর নাইওরপুল মোড়ে পিকআপ ও ট্রাক রেখে সড়ক অবরোধ করে পরিবহন শ্রমিকেরা। এতে জিন্দাবাজার-টিলাগড়, কুমারপাড়া-মেন্দিবাগ সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন ওই সড়কে চলাচল করা যাত্রী ও পথচারীরা।
ট্রাফিক পুলিশ বলছে, ফিটনেসবিহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় রেকার দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়া হলে শ্রমিকেরা অযৌক্তিকভাবে সড়ক অবরোধ করেন।
স্থানীয় লোকজন বলেন, নাইওরপুল মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান আটক করেন তিনি। ওই পিকআপ ভ্যানটির কাগজপত্র যাচাই করতে গিয়ে তিনি দেখেন সেটির রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদোত্তীর্ণ, গাড়ির ফিটনেস নেই ও চালকের লাইসেন্সও নেই। এ সময় তিনি পিকআপ ভ্যানটি রেকার দিয়ে তুলে পুলিশ লাইনসে পাঠান। খবর পেয়ে শ্রমিকনেতা পরিচয়ে জালাল খান নামের এক ব্যক্তি ট্রাফিক সার্জেন্টের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানতে চান। এ সময় আরো একটি পিকআপ ভ্যানের রেজিস্ট্রেশন মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় মামলা দেন ওই সার্জেন্ট। এ নিয়ে সার্জেন্টের সঙ্গে ওই শ্রমিকনেতার বাকবিতণ্ডা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিবহন শ্রমিকেরা নাইওরপুল সড়কে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান রেখে যান চলাচল বন্ধ করে রাখেন। এতে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও পথচারীরা। সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। পরে দুপুর ১২টায় পরিবহন শ্রমিকনেতা এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর বলেন, ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা জালাল খানের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির খবর পেয়ে শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেছিলেন। পরে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ বলেন, ফিটনেসবিহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া একটি পিকআপ ভ্যান আটক করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলে পরিবহন শ্রমিকেরা হয়রানির অভিযোগ আনেন ও সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর পর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সড়কের নিরাপত্তা ও নিরাপদ সড়ক আইন বাস্তবায়নে পুলিশ কাজ করছে। সড়কে বেআইনিভাবে যাতে যানবাহন নিয়ে শ্রমিকেরা বের না হন, সে ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।