সিলেট চেম্বারে শীর্ষক কর্মশালায় চেম্বার সভাপতি ॥ চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আলোচনাক্রমে শ্রম আইন তৈরী করা বাঞ্ছনীয়

8
বিইএফ, আইএলও ও সিলেট চেম্বারের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ক্যাপসিটি বিল্ডিং শীর্ষক কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক তাহমিন আহমদ।

২৯ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় চেম্বার কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (বিইএফ), ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) এবং দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র যৌথ উদ্যোগে চেম্বারের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক তাহমিন আহমদ।
সভাপতির বক্তব্যে তাহমিন আহমদ বলেন, করোনা মহামারীর কারণে প্রায় ৫ লক্ষ অভিবাসী শ্রমিক চাকুরী হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। বিদেশ ফেরত এসব কর্মীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিইএফ ও আইএলও যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমরা সিলেট চেম্বার অব কমার্সের পক্ষ থেকে এসব কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি। তিনি আরো বলেন, বিদেশে বড় বড় কোম্পানীতে কাজ করার সুবাদে এসব কর্মীরা বিভিন্ন ধরণের কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন থাকেন। তাদের এ অভিজ্ঞতাকে দেশে কাজে লাগানো গেলে দেশের অবকাঠামো, শিল্প ইত্যাদি খাতের উন্নয়নে তারা বড় ভূমিকা রাখতে পারবেন। এসব বিদেশ ফেরৎ কর্মীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং তাদেরকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা প্রদানের জন্য চেম্বার সক্ষমতা বৃদ্ধি একান্ত প্রয়োজন। তিনি বলেন, বর্তমান শ্রম আইনটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তবসম্মত নয়। আইনের অনেক ত্রুটি বিচ্যুতির কারণে প্রতিষ্ঠান মালিকগণ ক্ষতির স্বীকার হন। তাই চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আলোচনাক্রমে বাস্তবতার নিরিখে শ্রম আইন তৈরী করা বাঞ্চনীয়।
অনুষ্ঠানে বিইএফ এর জয়েন্ট সেক্রেটারী জেনারেল আসিফ আইয়ুব বলেন, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন বাংলাদেশের চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠান সমূহের জাতীয় পর্যায়ের সংগঠন। এটি এমপ্লয়ার প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করার পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের সাথে সম্মিলিতভাবে শ্রমিকদের কল্যাণেও কাজ করে। তিনি বলেন, বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রাইভেট সেক্টরের ভূমিকা ব্যাপক। রিক্রুটমেন্ট, ট্রেনিং এন্ড সার্টিফিকেশন, ইনফরমেশন, কমিউনিকেশন সহ সকল ক্ষেত্রে প্রাইভেট সেক্টরের ভূমিকা রয়েছে। আর প্রাইভেট সেক্টরের মধ্যে চেম্বার বা ট্রেড বডিগুলো একটি নির্ভরতার স্থান। তাই আমরা বিদেশ ফেরত কর্মীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং তাদেরকে দেশের অর্থনীতির মূলধারার সাথে যুক্ত করতে চেম্বারগুলোর মাইগ্রেশন সেলকে শক্তিশালীকরণের জন্য কাজ করছি।
আইএলও এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার তানজেল আহসান বলেন, ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের কল্যাণ সাধন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কর্মক্ষেত্রে শৃংখলা ও কাজের পরিবেশ বজায় রাখা, শ্রমিকের অধিকার রক্ষা, শ্রমমান উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আইএলও কাজ করে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, আইএলও এর ন্যাশনাল কনসালটেন্ট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, পরিচালক মুজিবুর রহমান মিন্টু, কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, দেবাংশু দাস, সদস্য আব্দুল হাদী পাবেল, ফায়েক আহমদ শিপু, মোঃ মাজহারুল হক, সচিব মোঃ গোলাম আক্তার ফারুক, সহকারী সচিব সানু উদ্দিন রুবেল, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার আজিজুর রহিম খান মিজান, আইটি অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান, এক্সিকিউটিভ অফিসার মোঃ শাহআলম রাফি ও প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মিনতি দেবী। বিজ্ঞপ্তি